বরিশালকে হারিয়ে শীর্ষ দুইয়ে চট্টগ্রাম
সবশেষ ম্যাচে কুমিল্লার কাছে ৭২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তার পরের ম্যাচেই দলটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালকে ১৬ রানে হারিয়েছে চট্টলার দলটি। চলে এসেছে এবারের বিপিএলের শীর্ষ দুইয়েও।
বিপিএলে আজ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি চট্টগ্রামের। তার কৃতিত্বের পুরোটাই যাবে ওপেনার ব্রাউনের ঝুলিতে। তিনি যখন রান তুলছেন প্রায় ২০০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে, তখন ওপাশে তানজিদ তামিমের স্ট্রাইক রেট যে টেনেটুনে ৭০ পেরোচ্ছে, তাও আবার দুই ডিজিট সমান বল খেলে ফেলার পর!
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তানজিদ যখন আউট হলেন সাইফউদ্দিনের শর্ট বলে, তখন তার নামের পাশে রান মোটে ১০, বল খেলে ফেলেছেন ১৮। শেষ দিকে শাহাদাত হোসেন দীপুও খেলেছেন এমনই গোছের এক ইনিংস। ২০ বলে তিনি খেলেছেন ১৫ রানের ইনিংস। এরপর সৈকত আলী, শুভাগত হোমরা কম বল খেললেও স্ট্রাইক রেট রইল দুই অঙ্কেই।
তার ঠিক উল্টো রূপটা বিদেশীদের ব্যাটে। তিন বিদেশী ব্রাউন, ব্রুস আর নাজিবুল্লাহ, সবার স্ট্রাইকরেট ১২৫ ছাড়ানো। ব্রাউন করেন ফিফটি, ব্রুস তার অভিষেকে করেন ২৩ বলে ৩৮। তাতে চড়েই শেষমেশ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তোলে ১৪৫ রান।
মন্থর ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী জবাব দিতে নামা ফরচুন বরিশাল ইনিংসেও দেখা গেছে। ইনিংসের সর্বোচ্চ রান এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। ৪টি চার আর দুই ছক্কায় সাজিয়েছেন ইনিংস। এরপরও তার এই রান করতে লেগে গেছে ৪৬ বল। ওদিকে আহমেদ শেহজাদ, মুশফিকুর রহিম, শোয়েব মালিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের কেউই সময়ের দাবি মিটিয়ে খেলতে পারেননি। সবাই আউট হয়েছেন ১০০র আশেপাশে স্ট্রাইক রেট নিয়েই।
শেষ দিকে সাইফউদ্দিন ১৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন বটে, কিন্তু তা দলের হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে স্রেফ, জয় এনে দিতে পারেনি। বরিশাল তাই ম্যাচটা হারে ১৬ রানের ব্যবধানে। আর চট্টগ্রাম খুলনাকে টপকে চলে যায় বিপিএলের শীর্ষ দুইয়ে।
বর্তমানে চট্টগ্রামের পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১০। শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের পয়েন্টও সমান। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে সাকিব আল হাসানের দল।