কুমিল্লাকে তিনে তুললেন জামাল
চলতি বিপিএলে খুলনা টাইগার্স যেন রীতিমতো উড়ছিল। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতে গিয়েছিল। তবে তাদের আজ মাটিতেই নামিয়ে আনল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হারাল ৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। তাতে খুলনাকে চারে নামিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকায় তিনেও উঠে এসেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
কুমিল্লার এই জয়ে বড় ভূমিকাই রেখেছেন পাকিস্তানি পেসার আমির জামাল। এবারের বিপিএলের প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। তার এমন নৈপুণ্যে ভর করেই এই জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা।
কুমিল্লার মাঝারি মানের লক্ষ্যে খুলনাকে দুর্দান্ত একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন দলটির অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তবে খুব বেশিক্ষণ উইকেটে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। আলিস ইসলামকে কাট শট করতে গিয়ে উইকেট খোয়ান তিনি। তার আগে তিনি করেন ১২ বলে ১৯ রান।
এনামুল ফেরার সঙ্গে ধস নামে খুলনার উইকেটে। বল হাতে কুমিল্লাকে নেতৃত্ব দেন আমির জামাল। তার বোলিং তোপের মুখে সুবিধা করতে পারেনি দলটির কোনো ব্যাটার। শেষ দিকে খুলনার পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিম কিছুটা আগ্রাসী ক্রিকেট খেললেও তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত খুলনার ইনিংস থেমেছে ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানে। দলের হয়ে ১২ বলে সর্বোচ্চ ২৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
এর আগে, এদিন ব্যাট হাতে রানে ফিরতে শুরুতে সময় নিয়ে ব্যাট চালিয়েছেন কুমিল্লার দুই ওপেনার। রিজওয়ান কিছুটা রয়েসয়ে ব্যাট চালালেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন লিটন। ছিলেন চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির পথেও। তবে শেষ পর্যন্ত নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে থামতে হয়েছে তাকে। ফেরার আগে ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। লিটন ফিরলে মাঠে টিকতে পারেননি তার সঙ্গী রিজওয়ানও। ২৮ বলে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর উইল জ্যাকস, তাওহিদ হৃদয় ও খুশদিল শাহ শুরু পেলেও তা ছিল যথেষ্ঠ ধীর গতির। মাঝের সময়টাতে বোলিংয়ে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ নেই খুলনার বোলাররা। পরে সেটা পুষিয়ে নিতে শেষ দিকে আগ্রাসী হয়ে উঠেন জাকের আলী। তার ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংসে খুলনাকে ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে কুমিল্লা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৪৯/৭ (লিটন ৪৫, জ্যাকস ২২, জাকের ১৮*; নাসুম ২/২১, ফাহিম ২/২৫)
খুলনা টাইগার্স: ১১৫ (১৮.৫ ওভার); (এনামুল ১৯, নাহিদুল ২১, ওয়াসিম ২৩; জামাল ৫/২৩)
ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩৪ রানে জয়ী।