ঢাকাকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল সিলেট

ঢাকাকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল সিলেট

টেবিলের তলানির দুই দলের লড়াই। দুর্দান্ত ঢাকা এবং সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই দ্বৈরথটা ছিল টুর্নামেন্টে টিকে থাকার, সমর্থকদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটানোর। অথচ এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করে ঠিকঠাক লড়াইয়ের পুঁজিটাও পায়নি ঢাকা। ১২৪ রান নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলাটা কষ্টকর। ঢাকার বোলাররা চেষ্টা করলেও ওই পুঁজি শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি তাদের জন্য। শেষ চারের স্বপ্ন টিকিয়ে রেখে ঢাকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে সিলেট।

টি-টোয়েন্টির বিচারে ১২৪ রানের লক্ষ্যকে মামুলি বললে মোটেও ভুল হবে না। তবে এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই নাভিশ্বাস ছুটে গেল সিলেটের। ১৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার হ্যারি টেক্টর (৮) এবং সামিট প্যাটেলকে (০) হারিয়ে বসে তারা। 

তিনে নেমে সিলেটকে কিছুটা স্বস্তি দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ চারে ৩৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ২১ রানে ছোট একটা জুটিও গড়ে তোলেন শান্ত। তবে পাকিস্তানি স্পিনার উসমান কাদিরের বলে স্লিপে নাঈম শেখের ক্যাচ হয়ে মিঠুন (১৭) ফিরলে ফের বিপদ বাড়ে সিলেটের।

সেই উসমান কাদিরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় শান্তর লড়াইও। তবে দুই বিদেশি ব্যাটার বেনি হাওয়েল আর রায়ান বার্ল মিলে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট চালিয়ে সিলেটের জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন। হাওয়েল ২৬ বলে ৩০* এবং ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন বার্ল। ঢাকার পক্ষে শরিফুল ২৭ রান দিয়ে ৩ এবং কাদির ১৬ রানে ২ উইকেট পান।

এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই টপ অর্ডার ব্যাটার সাইফ হাসান এবং নাঈম শেখের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় ঢাকা। সাইফের ৩২ বলে ৪১ এবং নাঈমের ২৯ বলে ৩৬ রানের দুরন্ত দুই ইনিংসে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ৮ বলের ব্যবধানে তারা দুইজন ফিরতেই ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে ঢাকা। শেষ পর্যন্ত আর সে ধস কাটিয়ে ওঠা হয়নি তাদের।

এই হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই রইল ঢাকা, তাদের পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ২। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে দুই জয় থেকে পাওয়া ৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে সিলেট।

সম্পর্কিত খবর