শান্ত-লিটনদের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ
গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স দেখিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন৷ জাতীয় দলে জায়গা পাকাপোক্ত হয়েছে, ক্যাপ্টেন্সি এসেছে৷ এই বিপিএলে দেখছেন মুদ্রার উল্টো পিঠ৷ রানই করতে পারছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত৷ ৮ ইনিংসে করেছেন মোটে ১০৬ রান। এক ম্যাচেই করেছেন ৩৬। গড় ১৩.২৫, স্ট্রাইক রেট ৯৩.৮০। তার হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে।
ক্যাপ্টেন্সি পাওয়ার পর উইকেট কিপিং-ক্যাপ্টেন্সি - ওপেনিং : এই তিন রোল মিলিয়ে খুব একটা সুবিধায় নেই লিটন দাস। ৬ ইনিংসে করেছেন মোটে ৮২ রান। সবশেষ ম্যাচে তিরিশ বলে ৪৫৷ আগের ৫ ইনিংসে করেছিলেন ৩৭ রান। গড় ছিলো ৭.৪৷ স্ট্রাইক রেট ছিলো ৭৫। সেই ইনিংসের পরও এখন গড় ১৩.৬৬ আর স্ট্রাইক রেট ১০৩। তবে কী এক সাথে তিনটা রোলই বোঝা হয়েছে তার জন্য?
অন্যদিকে রান দিয়ে বিপিএল শুরু করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হারের পেছনেও দায় এড়াতে পারেননি এই ব্যাটার। করেছিলেন ৪১ বলে মাত্র ৪৭। এরপর ০ এবং ৯। তার পর অবশ্য ৩৯ এবং ৩১ রানের দুইটা হেলদি স্ট্রাইকরেটের ভালো ইনিংস। সবশেষ ম্যাচে আবার ১৭ বলে ১৬৷ সব মিলিয়ে গড় ২৩। যে হৃদয় গত আসরে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন, চল্লিশের কাছাকাছি গড়ে ব্যাট করেছেন। ১২ ইনিংসে ৫ টা ফিফটি করেছেন। এমন পারফর্ম্যান্স কী হতাশাজনক নয়?
সৌম্য সরকারকে নিয়ে প্রত্যাশাও ছিলো বেশ৷ নিউজিল্যান্ডের সেই ইনিংসের পর অনেকে ভেবেছিলেন বিপিএলেও চলবে সৌম্য ধামাকা৷ কিন্তু বিপিএলে সেটা দেখা যাচ্ছে না। সাত ইনিংসে রান ১২৪৷ গড় সাড়ে সতেরো। স্ট্রাইক রেট ১২১। তবে সমস্যা ইনিংস বড় করতে পারছেন না। একটা ৪২ রানের ইনিংস আছে। তবে বাকী ৬ ইনিংসে করেছেন ৮২ রান। ১, ১৭, ১৭, ২০, ২৬, ০৷ ইনিংস বড় করতে পারছেন না। সেট হয়ে, বল নষ্ট করে ফিরছেন প্যাভিলিয়নে।
একটা প্রশ্ন চলেই আসে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাস চারেক আগে দলের প্রিমিয়াম ব্যাটারদের এই অবস্থা হলে বিশ্বকাপের বিমানে কী খুব বেশি আশা নিয়ে যেতে পারবে টাইগাররা?