খুলনার হারের হ্যাটট্রিকে প্রশ্নবিদ্ধ এনামুলের ব্যাটিং
১৫৩ রান করেও ৫ উইকেটের বিশাল হার খুলনা টাইগার্সের। তখনো আবার ম্যাচের একওভার বাকি! এমন হারের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে বোলারদের ওপরই দায় চাপালেন খুলনা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। বললেন, মার্ক দেয়াল ছাড়া আমাদের আর কোনো বোলার ভালো বোলিং করতে পারেনি। তাই স্কোরবোর্ডে এত রান গড়েও ম্যাচটা আমরা জিততে পারিনি।
এবারের বিপিএল দুর্দান্তভাবে শুরু করা খুলনা টাইগার্সের শেষ কয়েকটা ম্যাচ হারের মধ্যেই কাটছে। ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ৩ হার নিয়ে এখনো তার পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে। অন্যদিকে টানা পাঁচ হারের পর সিলেট স্ট্রাইকার্স শেষ চার ম্যাচে তিনটিতে জয় পেয়েছে।
মিরপুর শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ছুটির দিনে আগে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্স ৪ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে আসেন সর্বোচ্চ রান। এনামুল ইনিংসের আগাগোড়া ব্যাট করে ৫৮ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। একজন ওপেনার টি- টোয়েন্টিতে পুরো ইনিংস জুড়ে ব্যাট করার পর কেন এমন ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করবেন? খুলনার কোচ নিশ্চয়ই এখন এই প্রশ্নটা দলের অধিনায়ককে করতেই পারেন।
শুধু তাই নয়, ১৫৩ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে অধিনায়ক এনামুল তার বোলারদের যেভাবে ব্যবহার করেছেন তাতেও বুদ্ধিমত্তার কোনো ছাপ ছিল না।
শুরুর ১৫ ওভারে খুলনার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৮৯ রান। রান যা করার সেটা তারা তুলেছে মুলত শেষ পাঁচ ওভারে। শেষ ৩০ বলে তারা যোগ করেছে ৬৪ রান।
মিডলঅর্ডারে ব্যাট করতে নামা হাবিবুর রহমান সোহান ৩ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৩০ বলে ৪৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন। খুলনার ইনিংসে মুলত তরুণ ব্যাটার সোহানের এই ব্যাটিংটাই ছিল সবচেয়ে আর্কষনীয়।
টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে অ্যাঙ্কোরিং ব্যাটিং মুল্য পায় না-এনামুল হক বিজয়ের হাফসেঞ্চুরিটা এই ম্যাচে সেই শিক্ষাই দিচ্ছে।
রান তাড়ায় নেমে সিলেটের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার হিসেবে নামা সামিত প্যাটেল এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেনিং পজিশন ছেড়ে ওয়ান ডাউনে এসেও ফর্ম খুঁজে পেলেন না! জাকির হাসানও টানা কয়েকটি ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ।
শুরুর ৯ ওভারে ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সিলেট কিছুটা পথ হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ১৯ বলে ২৪ রান করে শুরুর সেই সঙ্কট থেকে দলকে উদ্ধার করেন। আর জিম্বাবুয়ের ব্যাটার রায়ান বার্ল এই ম্যাচে ফিনিসারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৬ বলে ৩ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে তার অপরাজিত ৩২ রান সিলেটকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিল। ওপেনার হ্যারি টেক্টর ৫২ বলে ৬১ রানের হাফসেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: খুলনা টাইগার্স ১৫৩/৪ (২০ ওভার, এনামুল ৬৭, আফিফ ২৪, হাবিবুর সোহান ৪৩*, সানজামুল ১/১৬)। সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৫৯/৫ (১৯ ওভারে, টেক্টর ৬১, শান্ত ১৮, মিথুন ২৪, বার্ল ৩২*, মার্ক দেয়াল ৩/১৯)। ফল: সিলেট স্ট্রাইকার্স ৫ উইকেটে জয়। ম্যাচসেরা: হ্যারি ট্রেক্টর।