সেই জয়াসুরিয়াকে সাক্ষী রেখেই নিসাঙ্কার ইতিহাসগড়া ২০০
কীর্তিটা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট আরও দুই যুগ আগেই দেখে ফেলতে পারত! সেটা হয়ে গেলে বিশ্বরেকর্ডই হয়ে যেত, ওয়ানডে ক্রিকেট যে তখনও ব্যক্তিগত ডাবল সেঞ্চুরি দেখেইনি!
তবে ২০০০ সালে কোকাকোলা কাপের ফাইনালে সনৎ জয়াসুরিয়া শেষমেশ পারেননি। ক্রিজ ছেড়ে তাকে বেরিয়ে আসতে দেখে সৌরভ গাঙ্গুলি একটা ওয়াইড করে বসেন, তাতেই স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে যান তিনি। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে থাকতে তাকে আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। একটা রেকর্ড অবশ্য হয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কান হিসেবে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংসের রেকর্ড।
তার ২৪ বছর পর আজ ভাঙল সে রেকর্ড। ভাঙলেন পাথুম নিসাঙ্কা। তিনি অবশ্য শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস খেলেই ক্ষান্ত হননি, বাগিয়ে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরিটাও।
মজার বিষয় হচ্ছে, যে জয়াসুরিয়ার রেকর্ডটা আজ ভেঙেছেন তিনি আজ পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হাজিরই ছিলেন। তার রেকর্ডটা যখন ‘ছিনতাই’ হয়ে গেল, তখনও তিনি বেশ খুশি, হাত তালি দিচ্ছিলেন উত্তরসূরীর এমন কীর্তি দেখে।
তবে এই রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিটা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল রীতিমতো। শেষ দিকে যখন তার চাই ১২ রান, তখন বল বাকি আরও ১২টি। সেই সময় ওপাশে থাকা চারিত আসালাঙ্কা ছিলেন স্ট্রাইকে, ‘খেয়ে’ ফেললেন ৪টা বল। নিসাঙ্কার চাই তখন ৮ বলে ১২।
এরপর অবশ্য তিনি আর শঙ্কাটা বেশিক্ষণ জিইয়ে রাখেননি। পঞ্চম বলে দুই রানে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন। এরপরের বলে ছক্কা। পরের ওভারের শুরুতে আবারও স্ট্রাইক আসালঙ্কার কাছে, এবার অবশ্য তিনি প্রথম বলেই স্ট্রাইক ফিরিয়ে দিলেন নিসাঙ্কাকে। স্ট্রাইক পেয়েই চার মেরে শ্রীলঙ্কার প্রথম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান বনে যান। শেষমেশ অপরাজিত ছিলেন তিনি ২১০ রানে। তাতে ভর করেই শ্রীলঙ্কা গড়ে ৩ উইকেট খুইয়ে ৩৮১ রানের পাহাড়।
নিসাঙ্কা ১০ম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে পেলেন ডাবল সেঞ্চুরির দেখা। আর এর আগে ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে ১১টি, নিসাঙ্কারটা ১২তম।
দুই যুগ আগে জয়াসুরিয়া না পারলেও এই ক্লাবটা খুলেছিলেন তারই সমসাময়িক শচীন টেন্ডুলকার। ২০১০ সালে গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তিনি।