হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার ‘প্রতিশোধ’
নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স হেরেছিল দুর্দান্ত ঢাকার কাছে। ফিরতি ম্যাচেও অনেকটাই চাপে ফেলে দিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ১৭৬ রানের বিশাল লক্ষ্য ঝুলিয়ে দিয়েছিল তাদের সামনে। তবে তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে ভর করে সে পরিস্থিতিটা থেকে উঠে এসে ৪ উইকেটের দারুণ এক জয়ই তুলে নিয়েছে দলটি। তাতে প্রথম লেগের সেই হারের প্রতিশোধটাও নেওয়া হয়ে গেল কুমিল্লার।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে আজ বেশ ভালো ব্যাটিংই করেছে ঢাকা। ১৩ বলে ১৪ রান করা চতুরঙ্গা ডি সিলভা আউট হয়ে যান। এরপরই শুরু নাইম শেখ আর সাইফ হাসান শো'র। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ারপ্লেতে ঢাকা পেয়ে যায় ৫৫ রান।
নাইম-সাইফ এরপরও থামেননি। সে ব্যাটিংটাই চালিয়ে গেছেন, ছুঁয়ে ফেলেছেন ফিফটিও। তবে ফিফটির পরই বিদায় নেন দুজন। বিদায়ের সময়টাও ছিল কাছাকাছি, ম্যাথিউ ফোর্ডের করা ১৭তম ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন দুজন। ৪২ বলে ৫৭ রান করেছেন সাইফ। অন্যদিকে হিট আউট হওয়ার আগে নাইম করেছেন ৪৫ বলে ৬৪।
শেষ দিকে অ্যালেক্স রস ১১ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ওপাশে এসএম মেহেরবও ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভার শেষে তাই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের পুঁজি পায় ঢাকা।
জবাবে কুমিল্লা অবশ্য শুরুটা ভালো পায়নি। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ১৮ রানেই দুই উইকেট খুইয়ে বসে। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরতে থাকা লিটন দাস করেন ৮ রান, ওপাশে তার ওপেনিং সঙ্গী উইল জ্যাকসও করেন ৯ রান। শুধু কি দুই ওপেনার? কুমিল্লার হয়ে এদিন ক্রিজে আসা ইমরুল কায়েস, রেমন রেইফার, জাকের আলী অনিকরাও তো দুই অঙ্কে যেতে পারেননি, ফিরেছেন তার আগেই।
এরপরও কুমিল্লা জিতেছে মূলত তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে। তাকে মাঝে সঙ্গ দিয়েছেন দলে নতুন আসা ব্রুক গেস্ট। ২৩ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসার পর তাদের ৮৪ রানের জুটিই কুমিল্লাকে ফেরায় কক্ষপথে। এরপরের লড়াইটা একাই লড়েছেন তাওহীদ। গেস্ট যখন ফিরছেন, তখন তার রান ৫৩। কুমিল্লার তখন চাই আরও ৬৯ রান। দলকে সেই তরী একাই তরিয়ে দিয়েছেন তিনি, ৫৫ রান করেছেন এই সময়ে। ওপাশে দেখেছেন সঙ্গীর আসা-যাওয়া নিজে অবিচল থেকেছেন ঠিকই। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১০৮ রানে, দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন।
এই জয়ের ফলে চটগ্রামকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে চলে এসেছে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের দল। ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে দলটির অর্জন দশ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়েও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তিনে চলে গেছে, কারণ নেট রান রেটটা ঋণাত্মক হয়ে আছে দলটির।