ঢাকাকে উড়িয়ে টিকে থাকল বরিশাল
দুর্দান্ত ঢাকা নাকি দুর্বল ঢাকা?
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দলটির নাম সমর্থকরা পাল্টে দিতেই পারেন! এবার হারতেই যেন মাঠে নামছে ঢাকা। তারই পথ ধরে বিপিএলে প্লে-অফের লড়াই থেকেও ছিটকে গেল তাসকিন আহমেদের দল। শনিবার তাদের উড়িয়ে লড়াইয়ে টিকে থাকল ফরচুন বরিশাল।
মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঢাকাকে ৪০ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল। রাতের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ভাল পুঁজি পেয়েছে দলটি। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ১৮৯ রান। জবাব দিতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ঢাকা অলআউট ১৪৯ রানে।
চলতি বিপিএলে ৯ ম্যাচ খেলে ঢাকার জয় মাত্র একটিতে। বরিশালের ৮ ম্যাচে ৪ জয়। কিছুটা হলেও প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল তারা। বিপিএলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। এরপরই ১০ পয়েন্ট কুমিল্লা। তৃতীয়স্থানে ১০ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা। ৮ পয়েন্ট নিয়ে এরপরই বরিশাল।
এমনিতে শক্তিশালী দল গড়েও কিছুতেই সাফল্য পাচ্ছিল না ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচটা জয় পেলেও এরপরই পথ হারায় তারা। ৬ ম্যাচে মাত্র ২ জয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই হেরেছে দলটি। তবে শনিবার মিরপুরের শেরেবাংলায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঠিকই জেতার মতো সংগ্রহ পেয়ে যায় বরিশাল।
যদিও এদিন ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেননি বরিশালের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। খেলার দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরে যান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর ঢাকার ক্যাপ্টেন তাসকিনের বলে আউট আহমেদ শেহজাদ। তাসকিন ফেরান মুশফিকুর রহিমকেও।
তারপরই প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য একারণেই তিনি ক্রাইসিস ম্যান। জাতীয় দল-ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ম্যাচ, সব জায়গাতেই মাহমুদউল্লাহ যেন বুঝিয়ে দেন তিনি কি? এবার ৪৭ বলে ৭৩ রানের দেখার মতো এক ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৭টি চার। শরিফুলের ১৭তম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন রিয়াদ।
অন্য প্রান্তে লড়লেন সৌম্য সরকার। ছয় ছক্কা ও চার চারে অপরাজিত ৪৮ বলে ৭৫ রানে। শোয়েব মালিক ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ঢাকা। ঢাকার শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন তুলেন দুটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে অ্যালেক্স রস কিছুটা লড়াই করেছেন। তার ফিফটি বাদ দিলে অন্যরা তেমন কিছুই করতে পারেন নি।
ওপেনার সাব্বির হোসেন ফেরেন দলের ৬ রানে। তিনি করেন ৮ বলে ৫। নাঈম শেখ ১১ বলে ১০। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলে ঢাকা।
এরপর সাইফ হাসান ১৩ বলে ১২ রান করে ফেরেন। এরপর অ্যালেক্স রসের সঙ্গে মিলে লড়েন এসএম মেহরাব। যদিও ২৯ বলে ২৮ রান করে আউট মেহরাব। শেষ অব্দি রস ৩০ বলে ৫২ রান তুলে আউট। বরিশালের হয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২টি করে উইকেট নেন ওবেদ ম্যাককয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ফরচুন বরিশালঃ ১৮৯/৪; ২০ ওভার (সৌম্য ৭৫*, মাহমুদউল্লাহ ৭৩), তাসকিন ২-৪৫, শরিফুল ২-৩৬।
দুর্দান্ত ঢাকাঃ ১৪৯/১০; ১৯.৪ ওভার (রস ৫২, মেহেরব ২৮), সাইফউদ্দিন ৩-২১, ওবেদ ২-১৯।
ফলঃ ঢাকা ৪০ রানে জয়ী।