ম্যাক্সওয়েলের ম্যাচে শেষ হাসি অজিদেরই

ম্যাক্সওয়েলের ম্যাচে শেষ হাসি অজিদেরই

ম্যাচের তখন আর এক ওভার বাকি। অস্ট্রেলিয়ার চাই ১টা উইকেট, উইন্ডিজের আরও ৫২ রান, তাও ১০ বলে। তখন ছোটখাট একটা বাকবিতণ্ডাই হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া দল আর আম্পায়ার জেরার্ড অ্যান্থনি আবুডের সঙ্গে। আলজারি জোসেফ রান নিতে গিয়ে আউটই হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠে কেউ নাকি ‘আবেদন করেনি’, সে কারণে আউট হয়েও হননি জোসেফ।

এরপরও অবশ্য উইন্ডিজের ম্যাচটা জেতা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার ২৪১ রানের জবাবে তারা থেমেছে শেষমেশ ২০৭ রানে। ম্যাচটা হেরেছে ৩৪ রানে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া ম্যাচে তাই শেষ হাসিটা অজিরাই হেসেছে।

ম্যাচের প্রথম ভাগটা নিরঙ্কুশভাবে ম্যাক্সওয়েলের। তিনি ৫৫ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেছেন। তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। তার আগে-পরে অবশ্য প্রায় সবাই অবদান রেখেছেন দলকে রান পাহাড় গড়তে। মিচেল মার্শ করেন ১২ বলে ২৯, টিম ডেভিড করেন ১৪ বলে ৩১ রান। ম্যাক্সওয়েল সেঞ্চুরি করেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো। ছুঁয়ে ফেলেন রোহিত শর্মার গড়া টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। 

তাতে চড়ে অস্ট্রেলিয়াও একটা রেকর্ড গড়েছে। নিজেদের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ইনিংস শেষ করে ২৪১ রান তুলে।

জবাবে সফরকারীরা শুরু থেকেই রান তুলছিল আস্কিং রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। তবে উইকেট খোয়াচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতে। পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান উঠে এলেও উইকেট চলে গিয়েছিল ৪টি। পাওয়ারপ্লে শেষ হতে না হতে অর্ধেক ইনিংস হাওয়া হয়ে যায় তাদের।

এরপর রভম্যান পাওয়েল জুটি গড়েন আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে। ১৬ বলে ৩৩ করে রাসেলও ফেরেন দলকে মাঝপথে ফেলে। এরপর পাওয়েল জুটি গড়েন রোমারিও শেফার্ডের সঙ্গে। ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংসের সিংহভাগ রান তিনি করেন এই জুটিতেই। দলীয় ১৭৪ রানে তিনি ফেরেন। 

এরপর জেসন হোল্ডার দলের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান শেষ পর্যন্ত। ১৬ বলে ২৮ রান করে তিনি দলের হারের ব্যবধানটা নিয়ে আসেন ৪০ এরও নিচে। শেষমেশ ৩৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে উইন্ডিজ। শেষ হাসিটা হাসে অস্ট্রেলিয়া।

সম্পর্কিত খবর