ক্রিকেট দলের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত
তিন ফরমেটের জন্য নতুন অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্ত’র নাম ঘোষণা করেছে বিসিবি। আগের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামনের একবছরের জন্য জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন সাকিব। তার ডেপুটি ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে সাকিব ইনজুরিতে থাকায় নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়কত্বও করেছিলেন। বিশ্বকাপ শেষে ইনজুরি এবং রাজনৈতিক ব্যস্ততার জন্য সাকিব জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। এই সময়টায় দেশে এবং বিদেশে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্রিকেট সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন শান্ত। তার নেতৃত্বগুনে বিসিবি সন্তুষ্ঠ। তাই লম্বা মেয়াদে তাকে অধিনায়ক করার পরিকল্পনা করছিল বিসিবি। সোমবারের (১১ ফেব্রুয়ারি) বিসিবি সভায় সেই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করা হয়।
ইনজুরি, রাজনৈতিক ব্যস্ততা সবমিলিয়ে সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের হয়ে সব ফরমেটে খেলার মতো সময়ও হয়তো করতে পারবেন না। সামনের মাসে শ্রীলঙ্কা সিরিজে তিনি খেলছেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর কদিন আগে তিনি নিজেও স্পষ্ঠ করতে পারেননি। এমনসব অনিশ্চয়তায় বিসিবিও সমস্যায় পড়ে। যে কোনো সিরিজ এলেই সাকিবের তাতে খেলা বা না খেলা নিয়ে এই যে অনিশ্চয়তার তৈরি হয়, সেই ধারাবাহিক ‘চিত্রনাট্যে’ বিসিবিও বিরক্ত। তাই বিসিবি এবার কোনো স্টপগ্যাপ অধিনায়কত্বের চিন্তা করেনি। লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব ঠিক করার পরিকল্পনা নেয়। সেই চিন্তা থেকেই নাজমুল হোসেন শান্তকে তিন ফরমেটের অধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিবি।
অধিনায়কত্ব নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য নতুন কিছু নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটেও দক্ষতার সঙ্গে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও তাকে দেখা গেছে। একজন অধিনায়ককে মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরেও পারঙ্গম হতে হয়। মিডিয়াকে যথাযথভাবে ফেইস করা থেকে শুরু করে দল পরিচালনা, সামনের সময়ের জন্য পরিকল্পনা করা, নিজের খেলোয়াড়দের রক্ষাকবচ হওয়া, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দলকে এগিয়ে নেওয়া এবং সর্বোপরি নিজে পারফর্ম করা; যাকে ক্রিকেটীয় ভাষায় বলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া-২২ গজের ব্যাট-বলের বাইরে এমনসব দাবি সাফল্যের সঙ্গেই পুরুণ করেন অধিনায়ক শান্ত।
এসব দিক বিবেচনা করেই নাজমুল হোসেন শান্তকে জাতীয় দলের অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি।