শততম টেস্ট নিয়েও রোমাঞ্চিত নন স্টোকস
অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৩ সালে টেস্ট অভিষেকে হয় বেন স্টোকসের। সেই তিনি এখন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। তার হাত ধরেই বদলে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের চিরচেনা চেহারা। স্টোকস নিজেও নাম লেখাতে যাচ্ছেন খেলাটির অভিজাত ক্রিকেটারদের ক্লাবে। রাজকোটে ভারতের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছেন নিজের শততম টেস্ট ম্যাচ।
তবে সেসব নিয়ে যেন কোনো আগ্রহ নেই তার। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৬ তম ক্রিকেটার হিসেবে এই ক্লাবে নাম লেখানোর পথে থাকলেও রোমাঞ্চিত নন তিনি। তার কাছে ১০০ কেবলই একটা সংখ্যা মাত্র।
নিজের শততম ম্যাচ নিয়ে স্টোকস বলেন, ‘প্রতিটি টেস্ট ম্যাচই পরের টেস্টের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। একটি খেলা শেষ হলে আরেকটি আসে। যেটা হয়তো এটার পর ১০১ হবে। এটা ক্যারিয়ারের দীর্ঘায়ুর একটি চিহ্ন মাত্র। তবে আমার কাছে ৯৯, ১০০ বা ১০১ কোনো কিছুই খুব বেশি পার্থক্য করে না। এটা কেবলই একটি সংখ্যা মাত্র। তবে এর মানে এই নয় যে আমি আমার পাওয়া সুযোগগুলো নিয়ে কৃতজ্ঞ নয়। তবে মাইলফলকের ক্ষেত্রে শেষ হওয়ার আগে শেষ নেই।’
বৃহস্পতিবার রাজকোটে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টিতে মাঠে নামবে ভারত-ইংল্যান্ড। যেখানে দু’দলই চাইবে ব্যবধানটা ২-১ করে নিতে। আর সেখানেই আপাতত মনোযোগ স্টোকসের।
তবে বোলিং করতে না পারাটাও যে তাকে ভাবাচ্ছে বেশ স্টোকস জানিয়েছেন সেটিও। গত ২০২৩ সালের জুনে লর্ডস টেস্টে শেষবার অজিদের বিপক্ষে হাত ঘুরিয়ে ছিলেন স্টোকস। এরপর থেকেই বোলিংয়ে দেখা যাচ্ছে না তাকে। তাই প্রশ্ন ছিলই বল হাতে কবে ফিরছেন তিনি। সেই প্রশ্নের উত্তরে স্টোকস বলেন, ‘এখনও সামান্য চোট আছে। আমি আমার তীব্রতা নিয়ে কোথায় যাব তা নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। আমার শরীরের বাকি অংশকে বোলিংয়ের সাথে গতিতে তাল মিলিয়ে উঠতে হবে।’