তামিম ঝড়, তবু ২০০ হলো না বরিশালের
ঢাকা-সিলেট শেষে বিপিএল চট্টগ্রামে যেতেই যেন দৃশ্যটা বদলে গেছে আমূলে। রানের ফল্গুধারা বইছে, ব্যাটাররা অ্যাপ্রোচও বদলে ফেলেছেন সহায়ক পিচ পেয়ে। কাল যেমন রান পেলেন লিটন দাস-সাকিব আল হাসান, আজ পেলেন তামিম ইকবাল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রীতিমতো ঝড়ই বইয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত ঢাকার ওপর। তবে তার এমন ঝড়ের পরেও ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি ফরচুন বরিশালের। ৬ উইকেট খুইয়ে তুলেছে ‘মাত্র’ ১৮৬ রান।
আজ টস জিতে বরিশালের ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য এমন ছিল না। একেকটা রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে তামিম আর অন্য ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে। চার ওভার পর্যন্ত তামিম ছিলেন খোলসেই। পঞ্চম ওভার করতে আসা আরাফাত সানির কাছ থেকে ২১ রান আদায় করে ঝড়ের শুরুটা করেন তিনি। একবার ছন্দে আসার পর আর থামতে হয়নি তামিমকে। ৩৪ বলে ৫টি চার ৩টি ছক্কায় ছুঁয়ে ফেলেন ৫০।
পরে আরও ১১ বল খেলেছেন তিনি, এই সময় তিনি ছিলেন আরও বেশি বিধ্বংসী। এই সময় ২১ রান তুলেছেন তিনি। হাঁকিয়েছেন আরও দুটো চার আর একটা ছক্কা।
ওপাশে শেহজাদ অবশ্য নামের সুবিচার করতে পারেননি। ২২ বলে ২৪ রান করে ফেরেন। এরপর সৌম্য সরকার ওয়ান ডাউনে নেমে তাকে সঙ্গ দেন কিছুক্ষণ। তবে তামিম আর বেশিক্ষণ টেকেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা পায়ে ঠেলে ৭১ রানে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১২৪ রানে বিদায় নেন তামিম, ওভার বাকি তখনও ৬টি। তখন বরিশালের সামনে সম্ভাবনা ছিল ২০০’রও। তবে শেষমেশ তা আর হয়নি মাঝের সময়ে ব্যাটিং লাইন আপ মুখ থুবড়ে পড়ায়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১০ বলে ১৩ রান, সৌম্য করেন ২৩ বলে ২৮। মিরাজ মুশফিকরা যেতে পারেননি দুই অঙ্কেই।
তবে বরিশাল শেষমেশ ১৯০ ছুঁইছুঁই পুঁজি পেয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে চড়ে। শেষে নেমে তিনি খেলেন ৬ বলে ২২ রানের ক্যামিও। ওপাশে দশ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। তাতেই বরিশাল তাদের ইনিংস শেষ করে ১৮৬ রান করে।