ঢাকাকে আরও ডুবিয়ে তিনে চলে এল বরিশাল

ঢাকাকে আরও ডুবিয়ে তিনে চলে এল বরিশাল

ঢাকায় নিজেদের সবশেষ ম্যাচেও এই ঢাকাকেই উড়িয়ে দিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। এবার চট্টগ্রাম পর্বে এসে ভেন্যু বদলালেও একই রকম থেকে গেল ফলাফলটা। ব্যবধানটা একটু কমল বড়ে, কিন্তু দুর্দান্ত ঢাকার আর ‘দুর্দান্ত’ হয়ে ওঠা হলো না, রইল বিজিতদের দলেই। ঢাকাকে ২৭ রানে হারিয়ে বরিশাল চলে গেল বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার তিনে।

বরিশালের এই জয়ের রূপকার তিন জন, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর খালেদ আহমেদ। শুরুটা করে দিয়ে গিয়েছিলেন তামিম। খানিকটা নড়বড়ে শুরু পর সাগরিকায় তিনি তুলেছেন ঝড়। সেই ঝড়টা সামলে নিলেও সাইফউদ্দিনের দেওয়া আফটার শকটা আর সামলাতে পারেনি ঢাকা। 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভার পর্যন্ত তামিম আর বরিশাল ছিল খোলসেই। পঞ্চম ওভার করতে আসা আরাফাত সানির কাছ থেকে ২১ রান আদায় করে ঝড়ের শুরুটা করেন তিনি। একবার ছন্দে আসার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তামিমকে। ৩৪ বলে ৫টি চার ৩টি ছক্কায় ছুঁয়ে ফেলেন ৫০। পরে আরও ১১ বল খেলেছেন তিনি, এই সময় তিনি ছিলেন আরও বেশি বিধ্বংসী। এই সময় ২১ রান তুলেছেন তিনি। হাঁকিয়েছেন আরও দুটো চার আর একটা ছক্কা।

ওপাশে শেহজাদ অবশ্য নামের সুবিচার করতে পারেননি। ২২ বলে ২৪ রান করে ফেরেন। এরপর সৌম্য সরকার ওয়ান ডাউনে নেমে তাকে সঙ্গ দেন কিছুক্ষণ। তবে তামিম আর বেশিক্ষণ টেকেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা পায়ে ঠেলে ৭১ রানে ফেরেন তিনি।

তামিমের বিদায়ের পর ঢাকা ম্যাচে ফেরে। ১৬ থেকে ১৮, এই তিন ওভারে দলটা দেয় ১৮ রান, তুলে নেয় ২ উইকেট। তখন মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোত্তা খেল বরিশালের ইনিংস। তবে সেই থেকে বরিশাল শেষমেশ ১৯০ ছুঁইছুঁই পুঁজি পেয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে চড়ে। শেষে নেমে তিনি খেলেন ৬ বলে ২২ রানের ক্যামিও। ওপাশে দশ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। তাতেই বরিশাল তাদের ইনিংস শেষ করে ১৮৬ রান নিয়ে।

এরপর ঢাকা সাইফউদ্দিনের রুদ্রমূর্তি দেখেছে বল হাতে। মোহাম্মদ নাইমকে ফেরান কেশব মহারাজ। এরপর অ্যাডাম রসিংটন আর সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে ঢাকার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন সাইফউদ্দিন। সেই যে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেল ঢাকা, এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি দুর্দান্ত ঢাকা ম্যাচটা জিততে পারবে। 

সাইফউদ্দিনের পর দৃশ্যপটে আসেন খালেদ আহমেদ। শন উইলিয়ামস, এসএম মেহেরব আর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনকে। এরপর আলাউদ্দিন বাবু যখন শিকার হলেন ওবেদ ম্যাকয়ের, তখম মনে হচ্ছিল দুই অঙ্কেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে ঢাকা।

তবে শেষ পর্যন্ত যে দলটা অলআউট হয়নি, হেরেছে ‘মাত্র’ ২৭ রানে, তার কারণ অ্যালেক্স রস। চারে নেমে তিনি খেলেছেন ৪৯ বলে ৮৯ রানের ইনিংস। লড়েছেন শেষ পর্যন্ত। তার কারণেই বরিশালকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বিশ নম্বর ওভারের শেষ বলটা পর্যন্ত।

তাতে অবশ্য খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যায়নি তাদের। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দলটা এখন চলে এসেছে বিপিএল পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। তাদের শেষ চারে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাটাও তাতে এক লাফে বেড়ে গেল অনেকখানি।

সম্পর্কিত খবর