খুলনাকে হারিয়ে শেষ চারের আরও কাছে কুমিল্লা
শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে, কিন্তু এরপর কুমিল্লা বিপিএলের শেষ চারের দৌড়ে ফিরে এসেছে ভালোভাবেই। তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে খুলনাকে উড়িয়ে দিয়েছে দলটি, তুলে নিয়েছে টানা পঞ্চম জয়। ৭ উইকেটের বিশাল এই জয়ে প্লে অফের আরও কাছে চলে এসেছে লিটন দাসের দল।
কুমিল্লার শুরুটা একটু নড়বড়ে ছিল। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক লিটন ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছিলেন সাজঘরে। পাওয়ারপ্লে শেষের আগে উইল জ্যাকসও তাই। তবে কুমিল্লা পা হড়কায়নি শেষমেশ। তাওহিদ হৃদয় পা হড়কাতে দেননি দলকে।
শুরুতে জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন জয়ের পথে। পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট খুইয়ে বসলেও রানের গতি কখনোই কমেনি দলটার। কারণ ওপাশে তাওহিদ শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। চার্লসের সঙ্গে তার ৪০ রানের জুটিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। চার্লস ফেরার পরও দমেননি। জাকের আলী অনিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। অপরাজিত থেকে তবেই ছেড়েছেন মাঠটা। এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরিটা এসেছে তার ব্যাট থেকে, তবে আজ যেভাবে খেলেছেন, তাতে সেঞ্চুরির ওই ইনিংসটা থেকে খানিক ওপরেই থাকবে ৯১ রানের এই ইনিংসটা। দল যে এই জয়েই প্লে অফের আরেকটু কাছে চলে গেছে!
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্স ওপেনিং জুটিতে আনে পরিবর্তন। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন অ্যালেক্স হেলস এবং আফিফ হোসেন। তবে এই সিদ্ধান্তটা বেশি একটা কাজে আসেনি। জুটিটা ভাঙে ৩২ রানেই। ১৭ বলে ২২ করে ফেরেন হেলস।
আফিফ শুরু থেকেই খোলসে ঢুকে ছিলেন, তিনে নামা এনামুলও তাই। তবু হেলসের এনে দেওয়া ভালো শুরুর কল্যাণে পাওয়ারপ্লেতে ৫২ রান তোলে খুলনা। বিজয় তাও দুটো ছক্কা মেরেছেন ইনিংসে, রান তুলেছেন তিন অঙ্কের স্ট্রাইক রেটে; আফিফ করেছেন তার উল্টোটা ৩৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। এনামুল ১০ আর আফিফ বিদায় নেন ১১তম ওভারে।
এরপর এভিন লুইস, মাহমুদুল হাসান জয়, ওয়েইন পারনেলদের সবাই শুরুটা ভালো করেছিলেন, তবে সেটা বড় কিছুতে রূপ দিতে পারেননি। কুমিল্লার বোলার ম্যাথিউ ফোর্ড, মইন আলীরা তা করতে দেননি। তাই শেষমেশ ১৬৪ রানে আটকে যেতে হয় খুলনাকে। যা তাওহিদের ব্যাটে চড়ে অনায়াসেই টপকে যায় কুমিল্লা।