ঢাকার আরও একটি হারে কুফা কাটাল খুলনা
দুর্দান্ত ঢাকার পারফরম্যান্সটা দুর্দান্ত হচ্ছে না বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই। তবে বিপিএলটা দুর্দান্তই কাটাচ্ছিল খুলনা টাইগার্স। প্রথম পাঁচ ম্যাচ পর্যন্ত তো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই ছিল তারা। তবে এরপর থেকেই যেন বদলে গেছে দলটির ভাগ্য। সবশেষ টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে শঙ্কায় পড়ে যায় দলটির প্লে অফ খেলা।
সেই শঙ্কা দূর করতে ও কুফা কাটাতে শেষ পর্যন্ত ঢাকাকেই বেছে নিয়েছে দলটি। ঢাকাকে ১২৮ রানে বেধে ফেলে খুলনা ম্যাচ জিতেছে ২৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে। যা টুর্নামেন্টে দলটির পঞ্চম জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে একধাপ উপরে উঠে চার নম্বরে এখন খুলনা।
এদিন ঢাকাকে অল্পতে আটকে রেখে ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপের মুখে পড়ে খুলনা। ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুলের বলে স্টাম্প ভাঙে খুলনা অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের। টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার এভিন লুইসও। ৪ রানেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে।
অবশ্য, এরপর পারভেজ হোসাইন ইমন ও শাই হোপ মিলে দলকে টেনে তুলেন। জুটি গড়ে পথ দেখান জয়ের। দলকে পথে রেখে ৩০ বলে ৪০ রান করে ইমন ও ২৮ বলে ৩২ রান করে হোপ ফিরলেও হতাশ করেননি আফিফ। ২১ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। তার খেলা ৪ ছয় ও ২ চারের ইনিংসে ভর করেই ১৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে ঢাকার টার্গেট টপকে যায় খুলনা।
এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানেই দুই উইকেট হারায় ঢাকা। সেই চাপে কাটা পড়েন দারুণ খেলতে থাকা অ্যাডাম রোসিংটনও। ১২ বলে ১৮ রান করে ফিরেন এই ব্যাটার।
এরপর মাঝে অ্যালেক্স রস ও ইরফান শুক্কুর চাপ কাটাতে নেমে রয়েসয়ে ব্যাট চালিয়ে উল্টো চাপ বাড়িয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। রস ৩৫ বলে করেন ২৫ রান। অন্যদিকে ২৬ বলে ২৫ করে সাজঘরে ফিরতে হয় শুক্কুরকে।
শেষদিকে দায়িত্ব নিতে পারেনি দলের বাকি ব্যাটাররাও। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ২৩ বলে করা ২৬ রান ও শেষ দিকে চতুরঙ্গ ডি সিলভার করা ১৭ রান দলকে মোটামোটি একটা পজিশনে দাঁড় করিয়েছে। এখন বাকি দায়িত্বটা নিতে হবে ঢাকার বোলারদেরকেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
দুর্দান্ত ঢাকা: ১২৮/৭; (রস ২৫, শুক্কুর ২৫, মোসাদ্দেক ২৬, ডি সিলভা ১৭*; পার্নেল ৩/১৯, মুগ্ধ ৩/১৮)
খুলনা টাইগার্স: ১৩১/৫; (ইমন ৪০, হোপ ৩২, আফিফ ৪৩*; শরিফুল ২/১৭, তাসকিন ২/২৭)
ফল: খুলনা টাইগার্স ৫ উইকেটে জয়ী।