‘জয়স-বলে’ জবাব ভারতের
দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ড পরিষ্কার ফেভারিটই ছিল এই টেস্টের। তবে তৃতীয় দিনের শুরুতে এসে ভারত দৃশ্যপটে চলে এল ভালোভাবে। দিনের শেষটা করলেন যশস্বী জয়সওয়াল। তার দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ভর করে ইতোমধ্যেই ৩২২ রানের লিড পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা। রাজকোট টেস্টের চালকের আসনেও চলে এসেছে দলটা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসের শুরুটা যেভাবে করেছিল ইংলিশরা, শেষটা মোটেও তেমন হয়নি। আগের দিন ভারতকে আরও একবার ‘বাজবলের’ পাঠ দিয়ে ৩৫ ওভারে প্রায় ছয় রান রেটে তুলে ফেলেছিল ২০৭ রান। তাতে মনে হচ্ছিল মোমেন্টামটা নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে নেওয়া ইংলিশরা বুঝি আজ ভারতের ধরাছোয়ার বাইরেই চলে যাবে। কিন্তু হলো তার ঠিক উল্টোটা।
ইংলিশদের উল্টোরথে চলার শুরু যশপ্রীত বুমরাহর বলে রিভার্স স্কুপ খেলতে গিয়ে জো রুটের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। এরপর জনি বেয়ারস্টো রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন। ১৫৩ রান করা বেন ডাকেটও কুলদীপ যাদবের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন কাভারে।
অধিনায়ক বেন স্টোকস ৪১ রান করেছেন বটে। কিন্তু তার এ রানটা আর বড় কিছুতে রূপ দেওয়া হয়নি। শেষ ৫ উইকেট ইংলিশরা হারায় লাঞ্চের পর, ২০ রানের বিনিময়ে। ১২৬ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংসটা শেষ করে রোহিত শর্মার দল। শেষ ৮ উইকেট ইংলিশরা খুইয়েছে ৯৫ রানে, এমন কিছু অবশ্যই দারুণ, তবে জরুরি পারিবারিক কারণে টেস্টের মাঝপথে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সরে দাঁড়ানোর বিষয়টাকে যদি ভাবনায় রাখেন, তাহলে ভারতের বোলিংয়ের মাহাত্ম্যটা বেড়ে যায় আরও বহুগুণে। তাদের এ অর্জনে বড় ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ সিরাজ, ৮৪ রান খরচায় তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট।
পরের গল্পটা স্রেফ ‘জয়স-বলের’। ৩০ রানে রোহিত শর্মার বিদায়ের পর থেকে প্রায় দিনের শেষ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দলের সেরা পারফর্মার। সেঞ্চুরি করেছেন প্রায় ১০০ স্ট্রাইক রেটে, আগের দিন যা করেছিলেন বেন ডাকেট, তার একেবারে কার্বন কপি রীতিমতো। দ্বিতীয় উইকেটে শুবমান গিলের সঙ্গে মিলে যোগ করেন ১৫৫ রান। পিঠে সমস্যা নিয়ে আহত অবসর হওয়ার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও। তাতে ভর করেই মূলত ভারত তৃতীয় দিনের শেষে পেয়ে যায় ৩২২ রানের বিশাল এক লিড।
