ঢাকার দুর্দশা বাড়িয়ে আশায় রইল চট্টগ্রাম
শেষ ওভার পর্যন্ত ঝুলে রইল ম্যাচটা। তবে শেষমেশ ফলটা যেমন হলো, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এর চেয়ে বেশি কিছু বুঝি চাইতেই পারত না আজ। দুর্দান্ত ঢাকাকে ১০ রানে হারিয়ে শেষ চারের আশাটা জিইয়ে রেখেছে বন্দরনগরীর দলটি।
ওদিকে ঢাকা ডুবল আরও। বিপিএলের সবেধন নীলমণি জয়টা তাদের ছিল সেই প্রথম ম্যাচে, কুমিল্লার বিপক্ষে। এরপর থেকে টানা ১০ হারের রেকর্ড করে এই ম্যাচে এসেছিল তারা। আশা ছিল যদি আরও একটা ম্যাচ জিতে বিদায় নেওয়া যায়। কিন্তু তা আর হলো না। ১১ ম্যাচ টানা হেরে, রেকর্ডটা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে তবেই বিদায় নিতে হলো খালেদ মাহমুদ সুজনের দলকে।
চট্টগ্রামের সাগরিকায় এবারের বিপিএলে যেমন রান হয়েছে, তার তুলনায় চট্টগ্রামের পুঁজিটা আজ একটু কমই ছিল। কিন্তু ঢাকা সে ১৬০ রানের লক্ষ্যটাও তাড়া করতে পারেনি। তাড়ার শুরুতেই ধাক্কা খায় দলটা। তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। অ্যাডাম রসিংটন এবং সাব্বির হোসেন বিদায় নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরীর শিকার হয়ে।
তৃতীয় উইকেটে ধীরগতিতে রান তুলে ঢাকার ডুবতে থাকা ভেলাটা ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করেন ওপেনার নাঈম শেখ এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রস। ৩৫ বলে ২৯ রান করে শহিদুল ইসলামের বলে নাঈম ফিরলে আবারও বিপাকে পড়ে ঢাকা।
এরপরের লড়াইটা হয়ে পড়ে অ্যালেক্স রসের একার। তবে ফিফটির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৪ চার এবং ৩ ছয় সহযোগে ৫৫ রান করে সালাহউদ্দিন শাকিলের বলে শুভাগতর তালুবন্দি হয়ে ফেরেন রস। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন ১৮ বলে ৩০* রানের ক্যামিও খেললেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পায়নি স্বাগতিকরা। প্রথম বলেই ওপেনার সৈকত আলিকে হারায় তারা। এরপর হতাশ করেন তিনে নামা জশ ব্রাউনও। ১১ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে।
তবে এরপরই চট্টগ্রাম লড়াইয়ে ফেরে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আর টম ব্রুসের ব্যাটে চড়ে। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৯৫ রান। শন উইলিয়ামসের বলে সাব্বির হোসেনের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ব্রুস করে যান ৪৮ রান।
ব্রুস ফিরলেও তামিম তার লড়াইটা চালিয়ে গেছেন একেবারে শেষ পর্যন্ত। ৩৬ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। এরপর তিনি থেমেছেন ১৯তম ওভারের শেষে। শরীফুল ইসলামের বলে তিনি যখন ফিরছেন, তখন তার নামের পাশে যোগ হয়ে গেছে ৭০ রান।
চট্টগ্রাম ইনিংসে তামিম আর ব্রুস বাদে আর কারোই বলার মতো তেমন কোনো অবদান ছিল না। তামিম ফিরেছেন যখন, তখনো ১ ওভার বাকি, দলের রান ছিল তখন ১৫১, এরপর থেকে শেষ ওভারে স্রেফ ৮ রানই যোগ করতে পেরেছে দলটা। তাতে ১৫৯ রানের পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চট্টগ্রামকে। তবে বোলারদের কল্যাণে সেটা যথেষ্টই হয়ে গেছে দলটির জন্য।