আইপিএল নয় ঘরোয়া ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতে জয় শাহর নির্দেশ
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জৌলুসপূর্ণ আসর আইপিএল। যেখানে খেলতে ভারত তথা বিশ্বের সব নামীদামী ক্রিকেটারও মুখিয়ে থাকে। তবে সমস্যা হলো, এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট যেমন রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি ও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। যার ফলে রং হারায় টুর্নামেন্টগুলো। আর এই বিষয়টি বিবেচনায় এনেই এবার কঠোর হতে যাচ্ছে বিসিসিআই। ক্রিকেটারদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ
কিছুদিন আগেই ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ঈশান কিষাণ। এরপর তাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলে না রাখা হলেও চলমান রঞ্জি ট্রফিতে অংশ গ্রহণ করেননি তিনি। একই কথা প্রযোজ্য শ্রেয়াস আইয়ারের ক্ষেত্রেও। ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝ পথে অফ ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়লেও রঞ্জি ট্রফিতে দলের সঙ্গে যোগ দেননি এই ক্রিকেটার। একই কাজ করেছেন দীপক চাহারও। যা নিয়েই এবার ক্রিকেটারদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন জয় শাহ।
ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার প্রবণতা আছে এমন ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা খুবই উদ্বেগের কারণ। কিছু খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করেছেন। যেই পরিবর্তন কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেট সর্বদাই ভারতীয় ক্রিকেটের ভিত্তি ছিল। যার উপর ভারতীয় ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। খেলাধুলার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এটিকে কখনই অবমূল্যায়ন করা হয়নি।’
জয় শাহ আরও বলেন, ‘এটি স্বীকার করা অপরিহার্য যে ঘরোয়া ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড গঠন করে। টিম ইন্ডিয়ার পাইপ লাইন হিসাবে কাজ করে। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুরু থেকেই পরিষ্কার ছিল- কাজেই ভারতের হয়ে খেলতে আগ্রহী প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্স নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসাবে কাজ করে। কাজেই ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ না করা দল নির্বাচনে গুরুতর প্রভাব ফেলবে।’
শাহ আরও বলেন, ‘এটি মোটেও সমালোচনা নয় বরং সেই মূল্যবোধের একটি অনুস্মারক যা বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। কাজেই ক্রিকেটারদের প্রতি আহ্বান যেন আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটের তাৎপর্যকে ম্লান না করি বা এর মূল কাঠামোকে দুর্বল না করি। আমাদের প্রত্যেকের খেলাটির রক্ষক হিসাবে, ঘরোয়া ক্রিকেটের মানকে সমুন্নত রাখতে এবং ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।’