সিলেটের জয়ে প্লে অফের টিকিট কাটা হলো না কুমিল্লার
আন্দ্রে রাসেল যখন উইকেটে আসলেন কুমিল্লাকে ম্যাচ জিততে তখন করতে হতো ২০ বলে ৫১ রান। বিধ্বংসী এই ব্যাটারের সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা লিটন দাস তখন উইকেটে। জয়ের আশা তো থাকেই। তবে না শেষ পর্যন্ত সেটি হতে দেয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৬৫ রানে কুমিল্লাকে আটকে দিয়েছে তারা। ১৭৮ রানের টার্গেট দিয়ে জয় তুলেছে ১২ রানে। তাতে প্লে অফের টিকিট হাতে পাওয়ার অপেক্ষাটা আরও বাড়ল কুমিল্লার।
সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কুমিল্লার প্লে অফের টিকিটের সমীকরণটা বেশ সহজই ছিল। জয় পেলেই নিশ্চিত হতো প্লে অফ। তাছাড়া প্রতিপক্ষও ছিল তুলনামূলক সহজ। যারা বাজে পারফর্ম করে এরইমধ্যে ছিটকে গেছে টুর্নামেন্ট থেকে। সেই সিলেটের বিপক্ষেই কি-না শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে কুমিল্লাকে। আর তাতে ঝুলে গেছে কুমিল্লার প্লে অফের টিকিট। অবশ্য হাতে এখনও দুই ম্যাচ আছে দলটির। তবে কুমিল্লার এই হারে ঠিকই জমে উঠেছে প্লে অফের লড়াই।
এদিন সিলেটের ১৭৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক লিটন দাস এক প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। তার খেলা ৫৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসটি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। ভূমিকা রাখেনি দলের জয়ে। অবশ্য এর জন্য দলের বাকি ব্যাটারদেরও দায় আছে যথেষ্ট। ইমরুল, তাওহীদ হৃদয়, জনসন চার্লস ও মঈন আলীরা প্রত্যেকেই রানের চেয়ে বল বেশি খেলেছেন।
যার বাড়তি চাপ পড়েছে লিটন ও শেষ দিকে ব্যাট করতে নামা রাসেল ও জাকের আলীর কাঁধে। আর সেই চাপ নিতে পারেননি তারা। রাসেল ১৪ বলে ২৩ ও জাকের ২ বলে ৭ রান করলেও তা ছিল না জয়ের জন্য যথেষ্ট। তবে সিলেটের জয়ে কৃতিত্ব সামিত প্যাটেল ও শফিকুল ইসলামের। দু’জনেই ছিলেন যথেষ্ট ইকোনোমিকাল। সামিত ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট। অন্যদিকে শফিকুল ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট।
এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় সিলেট। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪০ রান। এরপর মাঝে রানের গতি কিছুটা কমলেও শেষ দিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান বেনি হাওয়েল। সিলেট অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ও বেনি হাওয়েল দলকে টানেন। মিঠুনকে একপ্রান্তে রেখে উইকেটের অপর প্রান্তে কুমিল্লার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান হাওয়েল। একটা সময় মিঠুন ২০ বলে ২৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন হাওয়েল। আর তাতেই স্কোরবোর্ডে ১৭৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৭৭/৫ (লুইস ৩৩, মিঠুন ২৮, হাওয়েল ৬২*; নারিন ২/১৬, রিশাদ ২/৩৭)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৬৫/৬ (লিটন ৮৫, রাসেল ২৩; সাকিব ৩/৩৩, সামিত ১/১৫)
ফল: সিলেট স্ট্রাইকার্স ১২ রানে জয়ী।