নাটকীয় হারে ঝুঁকিতে বরিশালের প্লে অফ টিকিট

নাটকীয় হারে ঝুঁকিতে বরিশালের প্লে অফ টিকিট

প্লে অফের টিকিট আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে রংপুর রাইডার্স। তবে ফরচুন বরিশাল এখনও সেই টিকিট হাতে পায়নি। তাই প্লে অফের টিকিট পেতে রংপুরকে এদিন হারাতেই হতো বরিশালকে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সেটি পেরে উঠেনি। ম্যাচ হেরেছে নাটকীয়ভাবে। তাতে প্লে অফে খেলা বেশ ঝুঁকির মুখেই পড়ে গেছে দলটির। চলতি বিপিএলে তাদের আর একটি ম্যাচ বাকি আছে। যেখানে জয় ভিন্ন পথ খোলা নেই বরিশালের।

অবশ্য এদিন প্লে অফের রেসে এগিয়ে যেতে দুর্দান্ত একটা শুরু করেছিল বরিশাল। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন বরিশালের তামিম ও টম বান্টনরা। তবে সেই তাণ্ডব থামান সাকিব। তামিমকে নিজের প্রথম বলেই সাজঘরের পথ দেখান অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এরপরও দলকে রানে রেখেছিলেন কাইল মায়ার্স। ১২ ওভার শেষে ২ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে বরিশালের রান ছিল ১১৫ রান।

এরপর গল্পটা নিজের করে নিয়েছেন আবু হায়দার রনি। রংপুরের এই বোলার একাই তুলেছেন পাঁচ উইকেট। করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১২ রান খরচায় নিয়েছেন ৫ উইকেট। তার দিনে আগ্রাসী শুরু পাওয়া বরিশালকে শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছে ১৫১ রানে।

জবাবে রংপুরের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান জমা করে ফেলে বরিশাল। ব্যান্ডন কিং ও সাকিব তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন বরিশালের বোলারদের ওপর। এরপর অবশ্য ছন্দপতন হয়েছে। মাঝে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি রংপুরের ব্যাটাররা। তাতে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি হেলে পড়ে বরিশালের দিকেই।

তবে এরপর উইকেটে এসে ফের লড়াই জমিয়ে তুলেন জেমি নিশাম ও টম মোরেস। ষষ্ট উইকেটে ৩১ ও ৭ম উইকেটে করেন ১৯ রান জমা করেন নিশাম। তাতে জয়ের খুব কাছে চলে যায় রংপুর। এরপরও শেষ দিকে নিশামকে ফিরিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল বরিশাল। সেই ম্যাচ আরও জমে উঠে প্রোটোরিয়াস ও রনি ফিরলে। মনে হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত হেরেই বসবে রংপুর। ম্যাচটা গিয়েছিল শেষ ওভার পর্যন্ত। সেখানেও ছড়াচ্ছিল রোমাঞ্চ। তবে না নাটকীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত ৩ বল আগে ১ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
ফরচুন বরিশাল: ১৫১/৯; (তামিম ৩৩, মায়ার্স ৪৬; রনি ৫/১২, হাসান ২/৩১)
রংপুর রাইডার্স: ১৫৫/৯; (ব্র্যান্ডন ৪৫, সাকিব ২৯, নিশাম ২৮; মিরাজ ৩/২৪, ম্যাককয় ৩/৩৪)
ফল: রংপুর ১ উইকেটে জয়ী।

সম্পর্কিত খবর