সাকিবকে বিদায় করে তামিমের ‘বিশেষ’ উদযাপন যেভাবে দেখছেন মুশফিক
গতকাল বিপিএলে নিজেদের ১১তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল আর রংপুর রাইডার্স। এই ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই আলোচনা হচ্ছিল তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে। ম্যাচ শেষে সে আলোচনাটা বেড়েছে বৈ কমেনি একটুও।
ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি, সাকিব-তামিমের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সাকিব শুরুর দিকে বোলিং আক্রমণে এলে। সাকিব সেটা এলেন। তখন তামিম রীতিমতো উড়ছিলেন, ১৯ বলে ৩৩ রান করে ফেলেছিলেন। এরপরই সাকিবের প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিলেন মুমিনুল হকের হাতে। এরপর সাকিব মাতেন উদযাপনে, মুষ্টিবদ্ধ হাতটা বুকের কাছে নিয়ে যান তামিম ইকবালের দিকে চেয়ে। এমন উদযাপন সাকিব বহুবারই করেছেন, তাই তখন বিষয়টা স্বাভাবিক বলেই ধরা হচ্ছিল।
তবে বিপত্তিটা বাধে সাকিব ব্যাট করতে নামলে। সাকিবও প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে কাল করেছেন ২৯ রান। এরপর বিদায় নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজের বলে। সাকিব যখন লং অনে ধরা পড়লেন, তখন উদযাপনে মাতেন তামিমও। সাকিবের দিকে তাকিয়ে মুখটা খানিক বাঁকিয়ে, সাকিবের উদযাপনটাকেই নকল করেন ঠিক। এই মুহূর্তটা বুঝিয়ে দেয় দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা কতখানি শীতল। এরপর থেকেই এই দৃশ্যটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে আলোচনার শীর্ষে।
বিষয়টা নিয়ে এরপর ম্যাচ শেষে প্রশ্ন ধেয়ে গেছে দীর্ঘদিন পর সংবাদ সম্মেলনে আসা মুশফিকুর রহিমের কাছে। তিনি এর জবাবে বলেন, ‘এর আগে কি তামিম সাকিবের বলে আউট হয় নাই বা তামিম সাকিবের বলে ছয় মারে নাই? ইটস নাথিং। আপনারা যদি অই বিষয়টা অইভাবে দেখেন তাহলে হতে পারে। যদি না দেখেন তাহলে এটা ক্রিকেটের একটা ব্যাপার।’
তামিমের আউটের বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘এর আগে যত বোলার বল করেছে কোনো বল অইভাবে গ্রিপ করে নাই বা এক্সট্রা বাউন্স করে নাই। ও যে লেন্থে বল করেছে সেটা পড়ে স্কিড করে আসার কথা কিন্তু বল পড়ে বাউন্স করেছে। তামিম একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল পুল মারবে নাকি আস্তে করে ফ্লিক করে গ্ল্যান্স করে ১ রান নেবে। ইনডিসিশন আসলে এতটুকুই লাগে ব্যাটারের (আউট হতে) একটা বল।’
এরপর সাকিবের বিদায়ের পর তামিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা আমি দেখি নাই। আমি দেখেছিলাম ক্যাচটা হইসে কিনা শেষ। এরপর কে ব্যাটিংয়ে আসবে কী প্ল্যানিং। সত্যি কথা আমি দেখিই নাই। বললেন এখন হাইলাইটস গিয়ে দেখতে পারি কী হইসে।’