রনিকে প্রশংসায় ভাসালেন মুশফিক
১২ ওভারেই ১১০ রান, হাতে ৮ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো দলই চাইবে ২০০ ছাড়ানো একটা পুঁজি। ফরচুন বরিশালও গতকাল তার কাছাকাছি কিছুই চাইছিল। কিন্তু তা আর শেষমেশ হলো কই? আবু হায়দার রনির ১৩তম ওভারটাই তো সব সম্ভাবনা শেষ করে দিল বরিশালের! ম্যাচ শেষে তাই তার ভূয়সী প্রশংসাই করেছেন সে ওভারে তার প্রথম শিকার মুশফিকুর রহিম।
তবে মুশফিক এটাও জানালেন যে, ভাগ্যের সহায়তাও কিছুটা পেয়েছেন রনি। বলেছেন, ‘রনিকে কৃতিত্ব দিতে হবে। সত্যি কথা সে খুবই ভালো বোলিং করেছে। কিছুটা ভাগ্যও ওকে সহায়তা করেছে। যে ভালো করবে আল্লাহ তো তাকে দিতেই পারে এটা স্বাভাবিক।’
রনি নিজের প্রথম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথমে বিদায় করেন মুশফিককে। এরপর সৌম্য সরকারকেও দেখান সাজঘরের পথ। এরপর বিপদজনক কাইল মায়ার্সকেও আউট করলেন। এক ওভারেই তিন উইকেট নিয়ে বরিশালের বড় রানের আশাটা ফিকে করে দেন।
সম্ভাবনাটা যাও ছিল, পরের ওভারে আক্রমণে এসে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে সেটাও শেষ করে দেন তিনি। এরপর ১৭তম ওভারে আক্রমণে এসে ফেরান মিরাজকেও, বসিয়ে দেন কফিনের শেষ পেরেকটা। পাঁচ রানে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। শেষ ওভারে আরেকটা উইকেট পেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তুলে নিতে পারতেন এক ম্যাচে ছয় উইকেট। সেটা হয়নি, তবে বিপিএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে সেরা বোলিংটা হয়ে গেছে তার।
রনি এমন সাফল্য পেয়েছেন দারুণ বোলিং করেই। তার বল মোকাবিলা করতে অসুবিধা হয়েছে সবার, সেটা অকপটে স্বীকার করে নেন মুশফিক। বলেন, ‘আসলে যদি আউটগুলো দেখেন তাহলে দেখবেন না যে কেউ ক্রস ব্যাটে শট বা স্কুপ মারে নাই বা ডাউন দ্যা উইকেটে শট খেলে নাই (মেহেদী হাসান) মিরাজ বাদে। কারণ ওর সময়ে খেলা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয় নরমালি আমরা খেলতে চেয়েছি। আমরা জানতাম রনি এই ম্যাচটা খেলতে পারে যেহেতু রাতের খেলা আমাদের ৪-৫ জন বাঁহাতি ছিল সেক্ষেত্রে ওরা হাসান মুরাদকে খেলাবে না। রিপন মন্ডল বা বাকিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে না পারায় রনির মত কেউ একজন আসতে পারে। কিন্তু এখানে এসে যে এত ভালো করবে। এখানে বলও কিন্তু অত সুইং ও করছিল না। বলটা একটু ভেজা ছিল। সে যে লেন্থে বল করেছে সেখানে সুবিধা পেয়েছে। আর সে একটু স্কিডি টাইপ বোলার, এই চট্টগ্রামের উইকেটে স্কিডি টাইপ বোলাররা বাউন্স বেশি না করে উইকেট টু উইকেট বল করে ওরা সবসময় গেমে থাকে। আমি মনে করি সে (রনি) সাহায্য যেটা পেয়েছে সেটা সে কাজে লাগিয়েছে।’