তামিমের শহরে তামিমের প্রথম
তানজিদ হাসান তামিমের এবারের বিপিএলটাকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়। চট্টগ্রাম পর্বের আগে, আর চট্টগ্রাম পর্বে। এর আগে ব্যাট হাতে রান ছিল না, বড় ইনিংস পাচ্ছিলেন না। সে বড় রানটা এসে পেলেন চট্টগ্রামে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহীরুহ তামিম ইকবালের শহরে এসে। এবার পেয়ে গেলেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও। তার দারুণ শতকে ভর করেই চট্টগ্রাম তাদের বাঁচা মরার লড়াইয়ে পেয়ে গেছে লড়াইয়ের পুঁজি। খুলনা টাইগার্সের সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছে ১৯৩ রানের বিশাল এক লক্ষ্য।
তানজিদ চট্টগ্রামে যাওয়ার পর থেকেই আছেন ছন্দে। আগের ম্যাচেই তো, ৭০ রান করেছিলেন, দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। সে ছন্দটা আজও দেখা গেল তার ব্যাটে। তবে আজ তিনি আরও সাবলীল, আরও বেশি বিধ্বংসী। দেশী কিংবা বিদেশী, কাউকেই তো ছাড় দেননি, জেসন হোল্ডারকে বোলারস ব্যাক ড্রাইভে হাঁকিয়েছেন ছক্কা, ওয়েইন পারনেলকে পয়েন্ট দিয়ে সীমানাছাড়া করেছেন! এরপর দেশীয় বোলাররাও তার ঝাপটা সইতে হয়েছে বেশ। তিনি বনে যান এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ও সব মিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান।
তার এই ইনিংস এল এমন এক সময়, যখন দলের তা দরকার ছিল খুব ভালোভাবেই। দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই বিদায় নেন ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম। এরপর সৈকত আলীও ১০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস খেলে বিদায় নেন পাওয়ারপ্লের পরপরই।
পরের গল্পটা শুধুই তামিমের। হ্যাঁ, টম ব্রুসেরও কৃতিত্ব আছে, সঙ্গ দিয়েছেন তামিমকে। তবে চট্টগ্রামের ইনিংস এগিয়েছে তামিমের হাতে হাত রেখে। দলের তখন সেঞ্চুরিও হয়নি, তামিম ফিফটিতে পৌঁছে গেছেন তার আগে। এরপর নিজের ৫৮তম বলটা খেলে তিন অঙ্কে যখন গেলেন তিনি, দলের রান তখন মোটে ১৪৩।
তামিম ওখানেই থামেননি। এগিয়েছেন সমানতালে। পরের সাত বলে তুলেছেন ১৬ রান, একটা করে মেরেছেন ছক্কা আর চার। সব মিলিয়ে ৬৫ বলে তিনি করেছেন ১১৬ রান, ৮টা করে ছক্কা আর চার মেরে। যখন বিদায় নিলেন, ততক্ষণে নিরাপদ পুঁজির খুব কাছে চলে গেছে তার দল। এরপরও টম ব্রুস আর রোমারিও শেফার্ডের ব্যাটে ভর করে পরের ১১ বলে খুলনা তোলে ২২ রান। তাতে ১৯২রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।