৮ ম্যাচ পর রংপুরকে হারের স্বাদ দিল কুমিল্লা
টানা জয়ে বিপিএলে রীতিমতো উড়ছিল রংপুর রাইডার্স। ৮ জয়ে আগেই নিশ্চিত টুর্নামেন্টের প্লে অফ। সেই দলটিকেই এবার হারের স্বাদ দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নুরুল হাসান সুহানের দলকে হারিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। আর তাতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠার পথটা এখনও খোলা আছে কুমিল্লার।
এদিন শুরুতে বল হতে তুলে নিয়ে রংপুরকে অল্পতেই গুঁড়িতে দেওয়ার পথে ছিল কুমিল্লা। ১০৭ রানেই তুলে নিয়েছিল ৯ উইকেট। যদিও শেষ পর্যন্ত জিমি নিশাম নৈপুণ্যে স্কোরটাকে ১৫০ এ নিয়ে যায় রংপুর। যেখানে নিশামের সংগ্রহ ৬৯। এরপরও লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই ছিল কুমিল্লার।
সেই লক্ষ্য আরও সহজ হয় কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও সুনীল নারিন আগ্রাসী শুরু করলে। অবশ্য পরে সাকিব এসে পরপর দুই উইকেট তুলে খানিকটা চাপে ফেলেন কুমিল্লাকে। তবে সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠে কুমিল্লা। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও লিটনের জুটিতে জয়ের ভিত পায় কুমিল্লা। দলীয় শতক হওয়ার পর এই দুই ব্যাটার ফিরলেও দায়িত্ব নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। আগের ম্যাচে দলকে জেতাতে না পারলেও এদিন পেরেছেন। শেষ দিকে তার ১২ বলে খেলা ৪৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংসে ১৫ বল হাতে থাকতেই ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় কুমিল্লা।
এর আগে, মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনাকে বিদায় করে প্লে অফের টিকিট কেটেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর তাতে নিশ্চিত হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্লে অফ। তাই নির্ভার হয়েই রংপুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল লিটন দাসের দল। মাঠের ক্রিকেটেও যা হয়েছে দৃশ্যমান।
এদিন টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি রংপুরের ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারিয়েছে দলটি। শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ১৯ বলে ২৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে তাকে। সাকিব সাজঘরে ফেরার পর হাল ধরতে পারেননি টম মুর ও শামিম পাটুয়ারিরা।
তবে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিতে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রংপুরের কিউই ব্যাটার জেমস অ্যান্ডারসন। এদিন ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন এই অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দিয়েছে আবু হায়দার রনিও। বল হাতে গত ম্যাচে রংপুরের জয়ের নায়ক এদিন ব্যাট হাতে দলকে টানার চেষ্টা করছিলেন। তবে তার সেই চেষ্টা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১০৭ রানে ৯ উইকেট নেই রংপুরের। তাই যা করার করতে হতো নিশামকেই। সেই কাজটিই করেছেন এই কিউই ব্যাটার।
ইমরান তাহিরকে উইকেটের একপাশে দাঁড় করিয়ে রেখে ব্যাট হাতে শাসন করেছেন কুমিল্লার বোলারদের। শেষ উইকেটে জুটিতে স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন ৪৩ রান। আর তাতেই দেড়শ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রংপুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
রংপুর রাইডার্স: ১৫০; (সাকিব ২৪, নিশাম ৬৯*;রাসেল ৩/২০, মুশফিক ৩/১৮)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৫১/৪; (লিটন ৪৩, অঙ্কন ৩৯, রাসেল ৪৩; সাকিব ৩/২০)
ফল: কুমিল্লা ৬ উইকেটে জয়ী।