শ্রীলঙ্কার নাটকীয় হার, হাসারাঙ্গার কাঠগড়ায় আম্পায়ার

শ্রীলঙ্কার নাটকীয় হার, হাসারাঙ্গার কাঠগড়ায় আম্পায়ার

আফগানদের হারাতে শেষ ওভারে ১৯ রান করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। প্রথম তিন বলে ৮ রান নিয়ে সে পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় লঙ্কানরা। ওয়াফাদার মোমান্দের করা ওভারের চতুর্থ বলটি হয় উচ্চ ফুল টস। সেটাকে নো বলের আবেদন করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বৈধ্য বলে ঘোষণা দেন আম্পায়ার লিন্ডল হ্যানিবাল। এরপর শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেও শেষ পর্যন্ত ৩ রানে হারতে হয় শ্রীলঙ্কাকে। তাতে ২০৯ রানের লক্ষ্যে খুব কাছে গিয়েও নাটকীয়ভাবে ম্যাচ হারতে হয় স্বাগতিকদের। যা নিয়েই ম্যাচ শেষে আম্পায়ারের ওপর ক্ষোভ ঝেরেছেন লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়ের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিল লঙ্কানরা। এ ম্যাচ জিতলে হোয়াইটওয়াশ করা হয়ে যেত আফগানদের। ২০৯ রানের কঠিন টার্গেট দিলেও ম্যাচ জয়ের পথেই ছিল লঙ্কানরা। তবে শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের একটা সিদ্ধান্তে মোমেন্টান হারিয়ে ফেলে দলটি। তুমুল উত্তেজানার ম্যাচে হেরে বসে ৩ রানে। যার দায়েই ম্যাচ শেষে আম্পায়ারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ম্যাচ হারের দায় চাপিয়েছেন আম্পায়ারের ওপর। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার যোগ্যতা নেই এই আম্পায়ারের এমনটিও অভিমত দিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে আম্পায়ারের বিতর্কিত সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে হাসারাঙ্গা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমনটা ঘটা উচিত নয়। যদি এটি কোমরের উচ্চতার কাছাকাছি হতো, তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু একটি বল যেটি এত উঁচুতে যাচ্ছে... আরেকটু উঁচুতে গেলে যা ব্যাটসম্যানের মাথায় আঘাত করবে সেটি করে করে নো বল হয় না। আর আম্পায়ার যদি এটা দেখতে না পায় তবে সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত নয়। তার উচিত অন্য কাজ করা।’

শুধু অনফিল্ড আম্পায়ার নয় তৃতীয় আম্পায়ারের ও এতে দায় দেখেন হাসারাঙ্গা, ‘তখন ম্যাচের এমন একটি পরিস্থিতি ছিল যখন এই সিদ্ধান্তটি আরও পর্যালোচনা করা যেত। আমাদের ব্যাটসম্যানরা এটি পর্যালোচনা করার চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয় আম্পায়ার যদি সামনের পায়ের নো-বল পরীক্ষা করতে সক্ষম হন তবে তার এই ধরনের নো-বলও পরীক্ষা করা উচিত। তারা কেন পারবে না তার কোনো কারণ নেই। তবে তারা তা করেনি। এমনকি আমি নিশ্চিত নই যে সেই সময়ে স্কয়ার-লেগ আম্পায়ারের মনে কী চলছিল।’

সম্পর্কিত খবর