শরিফুলকে ছুঁতে পারবেন সাকিবরা?

শরিফুলকে ছুঁতে পারবেন সাকিবরা?

ব্যাট হাতে বিপিএলের শুরুটা সাকিব আল হাসান নিশ্চয়ই ভুলেই যেতে চাইবেন। তিন ইনিংস শেষে তার নামের পাশে ছিল মোটে পাঁচ রান। তবে বল হাতে সাকিব ছিলেন শুরু থেকেই বেশ ধারালো। তার ছাপটা মিলছে পরিসংখ্যানে। বিপিএলের গ্রুপ পর্বের বাকি এক ম্যাচ। ঠিক এই সময় এসে সাকিব আছেন এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।

তাহলে তালিকার শীর্ষে কে? সে জায়গাটা দখলে আছে পেসার শরিফুল ইসলামের। সবশেষ বছর বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট ছিল তার দখলে। তার সে ছন্দটা নতুন বছরেও ফুরিয়ে যায়নি, সেটা তিনি প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করেছিলেন। চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হিসেবে তিনি করেছিলেন হ্যাটট্রিক। এরপর তিনি সে ধারটা ধরে রেখেছিলেন একেবারে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। উইকেট পাননি এমন ম্যাচ কাটিয়েছেন মোটে দুটো। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচ খেলে তিনি তুলে নিয়েছেন ২৩ উইকেট।

তবে তার দুর্ভাগ্য, এবারের বিপিএলে তার নামের পাশে আর কোনো উইকেট যোগ হচ্ছে না। তার দল যে বিদায় নিয়েছে বিপিএল থেকে! শেষ ম্যাচটা চট্টগ্রাম পর্বেই খেলে এসেছে দুর্দান্ত ঢাকা। এখন তার ভূমিকাটা স্রেফ দর্শকের।

শরিফুল যেহেতু দর্শক হয়ে গেছেন, অন্যদের জন্য তাকে ছোঁয়ার সম্ভাবনাটা বেড়ে গেছে অনেকখানি। দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসানের অর্জন ১৭ উইকেট। সাকিবের দলেরই একজন আছেন তিন নম্বরে। শেখ মাহেদি হাসানের ঝুলিতে এখন পর্যন্ত জমা পড়েছে ১৫ উইকেট। 

এর ঠিক পরে যিনি আছেন, তার সামনেও আছে শরিফুলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি, অন্তত কাগজে কলমে আরকি। ১৪ উইকেট নিয়ে চারে আছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার বিলাল খান। প্লে অফে নিদেনপক্ষে একটা ম্যাচ পাবেন আরও। তার দল যদি শেষমেশ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলতে নাই পারে, তাহলে ম্যাচ আর বাড়তি একটাই পাবেন। এক ম্যাচের ৪ ওভারেই ৮ উইকেট পেয়ে যাবেন, এমন কিছু কাগজে কলমে সম্ভব, বাস্তবে যে সেটা বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার মতোই কঠিন, তা বিলালও জানেন ভালোভাবেই। আর তাই তিনি নিজে হয়তো চাইবেন দলকে কোয়ালিফায়ারে উতরে দিয়ে নিদেনপক্ষে আরও একটা সুযোগ বাড়িয়ে নেওয়ার। 

তবে তার পরের অবস্থানটা যার, সেই তাসকিন আহমেদ অবশ্য ছিটকে গেছেন শরিফুলের মতোই। দুজন ছিলেন একই দলে। ফলে ১৩ উইকেট নিয়েই এবারের বিপিএল শেষ করতে হয়েছে তাকে।

শরিফুল আর তাসকিনের বিদায়ে এখন দুয়ার খোলা সাকিব, মাহেদি, বিলালদের সামনে। বাস্তবিক সম্ভাবনাটা সাকিবেরই বেশি। কম হলেও মাহেদি-বিলালদের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত এই তিনের কেউ বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন, নাকি শরিফুলই থাকবেন বহাল তবিয়তে, সে প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে।

সম্পর্কিত খবর