এশিয়া কাপ আর্চারির ২ ফাইনালে বাংলাদেশ
রোমান সানা বহু দিন ধরেই আলোচনায় নেই, নেই আর্চারির পাদপ্রদীপের আলোয়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর থেকে তার র্যাঙ্কিং চলে গেছে অনেক পেছনে। এশিয়া কাপ আর্চারিতে তাই কোচ মার্টিন ফ্রেডেরিখ তুলনামূলক নতুনদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। তার এ বিশ্বাসটা যে অমূলক কিছু নয়, হাকিম, সাগর, আব্দুর রহমানরা তাই প্রমাণ করে দেখালেন। দুটো ইভেন্টের ফাইনালে চলে গেছে দল। চলে গেছে সোনার পদক থেকে এক ধাপ দূরত্বে।
রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে ফাইনালটা অনায়াসেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। দলে ছিলেন আব্দুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম ও হাকিম আহমেদ রুবেল। সব মিলিয়ে ৬টি দল অংশ নিয়েছিল। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ বাই পেয়ে গিয়েছিল র্যাঙ্কিং বিচারে। এরপর সেমিতে তাদের সামনে ছিল উজবেকিস্তান। তাদেরকে ৫-১ সেট পয়েন্টে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।
তবে ফাইনালটা যে সহজ হবে না, তার আভাস মিলছে ভালোভাবেই। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত। সেমিফাইনালে ভারত স্বাগতিক ইরাককে হারিয়েছে ৬-০ সেট পয়েন্টে। স্বাগতিকদের এভাবে হারানোর পর ফাইনালের আগে মানসিকভাবে ভালোই এগিয়ে থাকার কথা ভারতের।
রিকার্ভ নারী দল অবশ্য নিজেদের ইভেন্টে সেমিফাইনালের বৈতরণী পার করতে পারেনি। দিয়া সিদ্দিকির দল ৩-৫ সেট পয়েন্টে হেরেছে উজবেকিস্তানের কাছে। এবার তাদের সামনে ব্রোঞ্জ জেতার হাতছানি। সে ব্রোঞ্জ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইরাক।
নারী দলগত ইভেন্টের প্রতিশোধটা বাংলাদেশ তোলে মিশ্র রিকার্ভে। সেখানে সেমিফাইনালে উজবেকিস্তানকে ৫-৩ সেট পয়েন্টে হারান সাগর আর দিয়া। তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডিই হয়েছে। সেখানে ৪-৪ ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটা। সেখানে পাকিস্তানকে ১৭-১৫ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।
কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে হেরেছে ভারতের কাছে। ১৪৬-১৫৭ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে দলটি। বাংলাদেশ তাই খেলবে ব্রোঞ্জ ফাইনালে।
দলগত ইভেন্টে ছয়টির মধ্যে বাংলাদেশ চার ইভেন্টে অংশ নিয়েছে। চার ইভেন্টেই পদক জেতার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে দলগুলো। সোনা জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে দুই ফাইনালে বাংলাদেশ নামবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। আর ব্রোঞ্জের লড়াই ২৪ ফেব্রুয়ারি। আজ রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ইভেন্টের একক লড়াইয়ে নামবেন হাকিম-দিয়ারা।