আরও একবার সাকিব-মিরাজে তাকিয়ে বাংলাদেশ
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা এসেছিল সাকিব-মিরাজের হাত ধরেই। দু’জনে মিলে আফগানদের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। আটকে দিয়েছিলেন মাত্র ১৫৬ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নজর কাড়তে পারেননি দু’জনের কেউই। জয় পায়নি দলও। তবে চেন্নাইয়ের স্পিন বান্ধব উইকেটে তাদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। কেননা, এখানে জয় পেতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে স্পিনারদেরই।
চেন্নাইয়ে উইকেট বরাবরই স্পিন ফ্রেন্ডলি। এ মাঠে হওয়া সবশেষ ম্যাচগুলোর দিকে তাকালেই যা স্পষ্ট হয়। চলতি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৯৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অজিরা। জবাবে ৬ উইকেটে জয় তুলেছিল ভারত। ওই ম্যাচে অজিদের ৬ উইকেটই নিয়েছিল ভারতের স্পিনাররা।
এ ম্যাচের উইকেটও তেমনই হওয়ার কথা। বাড়তি সুবিধা পাওয়ার কথা স্পিনারদের। বাংলাদেশের একাদশেও দেখা যেতে পারে একজন বাড়তি স্পিনার। একাদশে পেসার কমিয়ে খেলানো হতে পারে নাসুম আহমেদকে।
স্পিন শক্তিতে অবশ্য পিছিয়ে নেই নিউজিল্যান্ডও। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের দুই ম্যাচ শেষে দলটির স্পিনার মিচেল স্যাটনার তুলেছেন ৭ উইকেট। এর মধ্যে সবশেষ ম্যাচে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। টুর্নামেন্টের টপ উইকেট শিকারি বোলাও তিনিই। সঙ্গে ব্যাট হাতেও শেষ দিকে ভূমিকা রাখতে পারেন। আরেক স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র তো বিশ্বকাপে এসে বোলার ছেড়ে ব্যাটারই বনে গিয়েছেন। এ ম্যাচে অবশ্য তার কাছ থেকে বোলিংটাও প্রত্যাশা করবে কিউইরা।
সব মিলিয়ে দু’দলের মূল লড়াইটা হবে স্পিনে। স্পিন মোকাবেলা করায় কোন দল এগিয়ে যায় লক্ষ থাকবে সেদিকে। তবে বাংলাদেশি সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবে সাকিব-মিরাজের ওপর। চাওয়া থাকবে তাদের হাত ধরে আরেকটি জয়।