বিপিএলের লিগ পর্ব মাতিয়েছেন তামিম-শরিফুলরাই
বিপিএলের এবারের আসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু থেকেই অনেক অনেক দ্বিধাতে থাকতে হয়েছে আয়োজক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। একের অধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলার ফলে বেশ কয়েকজন নামীদামী খেলোয়াড়ই সময়মতো টুর্নামেন্টে এসে যোগ দিতে পারেননি। তবে প্রথম ম্যাচ থেকেই ব্যাট ও বল হাতে দাপট দেখিয়ে আসছেন দেশের ক্রিকেটাররা। সেই ধারা বজায় রেখেই গতকাল (শুক্রবার) শেষ হয়েছে লিগ পর্বের সর্বশেষ ম্যাচ।
চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের চারজনই বাংলাদেশি। ঠিক বোলিংয়েও তাই। দেশীয় ক্রিকেটারদের এই উন্নতি চোখে পড়ার মতো এবং এতে বেশ খুশি দলের সকল কোচ ও ম্যানেজমেন্ট। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই বিপিএলে ভালো খেলার প্রভাব বা ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা।
আগামী সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হবে প্লে-অফের ম্যাচ। ১২ ম্যাচের ৯টিতেই জিতে শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে রংপুর। এদিকে ৮ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়ে কুমিল্লা আছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। তাই সোমবার রাতে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
অপরদিকে সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন ও চারে আছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম। সোমবার দিনের ম্যাচে এই দুই দল মুখোমুখি হবে এলিমিনেটর ম্যাচে। সেখানকার জয়ী দল আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দলের সঙ্গে। শেষে আগামী ১ মার্চ গড়াবে বিপিএলের এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচটি।
১২ ম্যাচে ৩২.৫৮ ব্যাটিং গড় এবং ১২৬ পেরোনো স্ট্রাইক রেটে সবচেয়ে বেশি ৩৯১ রান করেছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এদিকে জাতীয় দলে বেশ কিছুদিন খারাপ সময় পার করলেও বিপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন তাওহিদ হৃদয়। ৩৮.৩ ব্যাটিং গড় এবং ১৫০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে ৩৮৩ রান করে আছেন তালিকার দুইয়ে।
তানজিদ তামিম ছাড়িয়ে যেতে পারতেন সবাইকে। ৩৮২ রান করে আছেন তালিকার তিনে। তবে তামিম ও হৃদয়ের থেকে খেলছেন একম্যাচ কম। সেরা পাঁচের তালিকায় একমাত্র বিদেশি অ্যালেক্স রস। ১১ ম্যাচের তার মোট রান ৩৫২। তবে তার দল দুর্দান্ত ঢাকা শেষ চারের টিকিট কাটতে না পারায় এই তালিকার সামনে এগোনোর পথ এখানেই শেষ অজি ক্রিকেটারের। তালিকার পাঁচে জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার, মুশফিকুর রহিম। ১২ ম্যাচে মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটারের মোট রান ৩১৪।
এদিকে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে সবার ওপরে শরিফুল ইসলাম। তার দল দুর্দান্ত প্লে-অফে গেলে এই সংখ্যা হয়তো আরও বাড়ত। এক ম্যাচ কম খেলে ১৭ উইকেট নিয়ে দুইয়ে দেশের জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আসরের শুরুতে চোখের সমস্যা বেশ খানিকটা ভোগালেও শেষ এসে ব্যাটে-দুর্দান্ত পারফর্ম সাকিবের। ১২ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে তিনে সাকিবের ফ্রাঞ্চাইজি সতীর্থ শেখ মাহেদি।
ব্যাটিং তালিকার হবুহু বোলারদের সেরা পাঁচেও এক বিদেশি এবং যার অবস্থান চারে। ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেওয়া এই বিলাল খান চট্টগ্রাম দলের ওমানি পেসার। সেরা পাঁচে আরও এক রংপুর বোলার, হাসান মাহমুদ। ১২ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ১৩।