কিউইদের মাঠে অজিদের টানা তিন জয়
ঘরের মাটিতে সবশেষ ২০২২ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। এর পর থেকে নিজেদের মাটিতে হওয়া তিন সিরিজে হারের মুখ দেখতে হয়নি দলটিকে। তবে সেই ভারতের কাছেই ঘরের মাটিতে ২০১৯ সালে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল কিউইরা। বছর চারেক পর আবারও ফিরল সেই দুঃস্বপ্ন। বিপরীতে এবার অস্ট্রেলিয়া।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতেও বৃষ্টি আইনে ২৭ রানে হেরে আরও একবার ধবলধোলাই কিউইরা। এদিকে ৩-০ ব্যধধানে সিরিজ জয়ে অস্ট্রেলিয়ার।
অকল্যান্ডে এই ম্যাচে বৃষ্টি বাঁধা হেনেছে গুনে গুনে তিনবার। এতে ১০ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেটে ১১৮ রান সংগ্রহের পর আর ব্যাট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে ডিএলএস পদ্ধতিতে ১০ ওভারে জয়ের জন্য কিউইদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৬ রানের।
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ আগেই হাতছাড়া করা কিউইদের এই ম্যাচ ছিল মান বাঁচানোর। সেখানে স্বল্প ওভারে বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ঝোড়ো পেলেও ২৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। ৫১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ফিন অ্যালেনও। ততক্ষণে ওভার ও শেষ অর্ধেক। সেখান থেকে আর কোনো উইকেট না হারালেও রানের গতি বাড়িয়ে জয়ের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় মিচেল সান্টনারের দল। ১০ ওভারে ৯৮ রান তোলে তারা। সেখানে সর্বোচ্চ ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফিলিপস।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন স্টিভ স্মিথ (৪)। তবে ম্যাথু শর্টকে নিয়ে ২৭ বলে ৫১ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন ট্রাভিস হেড। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ২ উইকেটে ৬৭ রান। তার দুই বল পরই নামে প্রথম দফায় বৃষ্টি। সেটি প্রায় আধা ঘণ্টা পর থামলে ফের শুরু হয় খেলা। এবং ১০ ওভার ৪ বলের মাথায় ফের বৃষ্টি নামলে সেখানেই অজিদের ইনিংস ঘোষণা করে ম্যাচ আম্পায়াররা। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন হেড। তবে ২৭ রান ও বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার পান শর্ট।
এদিকে এমন জয়ের দিনে দারুণ এক কীর্তি গড়ল অস্ট্রেলিয়া। স্বল্প ফরম্যাটে নিজেদের ১০০তম ম্যাচ জিতল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি)
অস্ট্রেলিয়া: ১১৮/৪ (১০.৪ ওভার) (হেড ৩৩, শর্ট ২৭; ক্লার্কসন ১/৮, সান্টনার ১/১৬)
নিউজিল্যান্ড: ৯৮/৩ (১০ ওভার; ডিএলএসে টার্গেট ১০ ওভারে ১২৬) (ফিলিপস ৪০, চ্যাপম্যান ১৭*; স্পেনসার ১/১০, জাম্পা ১/২০ )
ফলাফল: বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়া ২৭ রান জয়ী
সিরিজের ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ম্যাথু শর্ট
সিরিজসেরা: মিচেল মার্শ