রাঁচির স্পিন স্বর্গে ভারতকে ১৯২ রানের টার্গেট ইংল্যান্ডের
ধ্রুব জুরেল দৃঢ়তায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ৩৫৩ রানের জবাবে ভারতের ইনিংস থামে ৩০৭ রানে। তাতে আশানুরূপ লিড পায়নি সফরকারী ইংল্যান্ড। তবুও ৪৬ রানে এগিয়ে থাকায় রাঁচি টেস্টে এগিয়ে ছিল বেন স্টোকসের দলই। সেই লিডটাকে বড় টার্গেট দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ভারতীয়দের স্পিনে মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারেনি ইংলিশ ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত তাদের থামতে হয়েছে ১৪৫ রানে। তাতে ভারতের সামনে টার্গেটটা দাঁড়িয়েছে ১৯২ রানের।
ইংল্যান্ডের এটি সিরিজ বাঁচানোর টেস্ট। এমন সমীকরণে নিজেদের নতুন ঘরানার ক্রিকেট বাজবল থেকে সরে এসেছে বেন স্টোকসের দল। চিরায়ত টেস্ট মেজাজেই রান তুলতে দেখা গেছে সফরকারীদের। তাতেও কাজ হয়নি খুব একটা। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট খুয়াতে হয়েছে সফরকারীদের।
প্রথম ইনিংসে জো রুট তবুও দলকে টেনে ছিলেন। কঠিন অবস্থা থেকে টেনে তুলে দলকে দাঁড় করিয়ে রেখে এসেছিলেন শক্ত অবস্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসেই তেমন একটি ইনিংসের প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের। সেই দায়িত্বটুকু নিতে পারেনি দলটির কোনো ব্যাটার। রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে রিতীমতো দিশেহারা হতে হয়েছে সফরকারী ব্যাটারদের। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কোনো ব্যাটার। এই দুই বোলার মিলে শিকার করেছেন ইংলিশদের ৯ উইকেট।
এদিন, দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাট হাতে তালঘোল পাকিয়ে ফেলে সফরকারীরা। দলীয় ১৯ রানেই ফিরতে হয় ইংলিশদের দুই টপ অর্ডার ব্যাটারদের। তবে জ্যাক ক্রাউলি এক প্রান্ত আগলে রেখে পথ দেখাচ্ছিলেন ইংলিশদের। তবে দলীয় ১১০ রানে ব্যক্তিগত ৬০ রানে তিনি ফিরলে শুরু হয় ইংলিশদের ব্যাটিং ধস। বাকি ৩৫ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
এর আগে ২১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামা ভারতকে লম্বা সময় সার্ভিস দিয়েছেন জুরেল। আগের দিন ৩০ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার ছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের পথেও। তবে শেষ পর্যন্ত ৯০ রানে থামতে হয়েছে তাকে। তিনি ফিরলে ভারতের প্রথম ইনিংস থামে ৩০৭ রানে।