১১৮ মিনিটে ফন ডাইকের গোলে শিরোপা লিভারপুলের
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমের এই সময়ে শীর্ষে লিভারপুল। অন্যদিকে চেলসি ১১তম অবস্থানে। লিগে দল দুটির অবস্থানে বেশ খানিকটা দূরে হলেও কাপ প্রতিযোগিতায় ম্যাচে যেন ফেরে পুরনো দ্বৈরথ। লড়াইয়ের তীব্রতা থামাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে কিংবা টাইব্রেকারে। বছর দুয়েক আগেও ইংলিশ লিগ কাপের ফাইনালে উঠেছিল লিভারপুল ও চেলসি। সেবার অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গোলশূন্য ব্যবধান থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও নাটকীয়তার নেই কমতি; ২১ শটের দীর্ঘ সেই টাইব্রেকারে ১১-১০ ব্যবধানে জিতে শিরোপা জিতেছিল অল রেডরা।
২০২৪ এসেও খানিকটা সেই আসরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। ওয়েম্বলি আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের নান্দনিক সব মুহূর্ত তৈরি করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না দুই দল। মূল ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ও শেষ হচ্ছিল গোলশূন্য ব্যবধানে। তবে সেখানেই চোট জর্জরিত ইয়ুর্গেন ক্লপের দল হঠাতই থমকে দিল চেলসি ডাগআউটকে। অতিরিক্ত সময় শেষ হতে বাকি আর ২ মিনিট।
খুব সম্ভবতই টাইব্রেকারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল দল দুই কোচিং স্টাফরা। তবে সেখানেই বদলে গেল সব। ১১৮তম মিনিটে এসে ফন ডাইকের হেড থেকে বল চেলসির জালে। উল্লাসে মেতে উঠল লিভারপুলের ডাগআউটসহ মাঠের ৮৯ হাজার ছুঁইছুঁই দর্শকের মধ্যে লিভারপুল সমর্থকরা। ১-০ ব্যবধানের এই জয়ে মৌসুমে সম্ভাব্য চারটির শিরোপা প্রথমটি অল রেডদের ঝুলিতে। এবং কারাবাও কাপ নামে পরিচিত এই ইংলিশ লিগ কাপের রেকর্ড ১০ম শিরোপাও এখন লিভারপুলের দখলেই।
শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলে সময় গড়িয়ে আক্রমণে ফেরে চেলসি। এদিকে চোট জর্জরিত লিভারপুল আক্রমণে মাত্রা বাড়িয়ে রাখলেও যেন সেই ‘ফিনিশার’ এর অভাবে ভুগছিল। সেই ‘ফিনিশ’ এলো ডিফেন্ডারের পায়ে। সেই কর্নার কিকে চেলসির রক্ষণভাগে পাঁচজনের সঙ্গে বল খোঁজার লড়াইয়ে একা লাফ দেন ফন ডাইক। এবং সেখানে জয় এই ডাচ ডিফেন্ডারেরই। হেড থেকে করা সেই দারুণ গোলেই দলকে শিরোপা এনে দিলেন অল রেডদের এই অধিনায়ক।