রাঁচিতেই সিরিজ নিশ্চিত করল ভারত
সিরিজ জয়ের সুবাসটা তৃতীয় দিনেই পাচ্ছিল ভারত। চতুর্থ-দিনে এসে খানিকটা রোমাঞ্চের আভাস অবশ্য দিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১২০ রানেই সাজঘরে ফিরিয়েছিল পাঁচ ভারতীয় ব্যাটারকে। জয় থেকে তখনও ৭২ রান দূরে ভারত। রাঁচির স্পিন স্বর্গে কাজটা খুব একটা কঠিনও নয়। কেননা, একদিন আগেই শেষ ৩৫ রান তুলতে গিয়ে উইকেটে ৬ উইকেট খুয়াতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে।
তবে আজ সেটি হতে দেননি শুভমান গিল ও ধ্রুব জুরেল। প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরানো জুরেল দ্বিতীয় ইনিংসে খেললেন অপরাজিত ৩৯ রানের একটা ইনিংস। আর তাতেই রাঁচি টেস্টের সঙ্গে সিরিজটাও নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক ভারত। পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে এখন ব্যবধানটা দাঁড়িয়েছে ৩-১। আর এতে করে ২০১২ সালের পর ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ না জেতার আক্ষেপটা আরও দীর্ঘতর হলো ইংলিশদের।
অথচ একদিন আগেও রাঁচি টেস্টের ড্রাইভিং সিটে ছিল সফরকারীরা। তৃতীয় দিনে ৪৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল বেন স্টোকসের দল। সেখান থেকে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেই ভারতীয় বোলাররা। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রান করা ইংলিশদের গুটিয়ে দেয় মাত্র ১৪৫ রানে। যেখানে রবীন্দ্র জাদেজা ৫ ও কুলদীপ যাদব নেন ৪ উইকেট। ভারতের লক্ষ্যটা দাঁড়ায় মাত্র ১৯২। সেই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শেষ বিকেলে কোনো উইকেট না হারিয়েই স্কোরবোর্ডে ৪০ রান জমা করে ভারত। টার্গেটটা নেমে আসে ১৫২ রানে।
এরপরও হাল ছাড়েনি সফরকারীরা। রাঁচির উইকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব সে কথাও জানিয়ে রেখেছিলেন ইংলিশ তরুণ স্পিনার শোয়েব বশির। তাই লড়াইয়ের আভাস ছিলই। তবে বিপত্তিটা বাধে ৮৪ থেকে ১২০ মাঝে ৩৬ রানের ব্যবধানে ভারতের পাঁচ ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে। জমে উঠে ম্যাচ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে ইংলিশ স্পিনাররা। স্পিনে দলকে নেতৃত্ব দেন শোয়েব বশির।
ম্যাচে জয় পাওয়া বেশ কঠিনই হয়ে উঠে ভারতের। আগের ইনিংসের নায়ক জুরেলকে নিয়ে দলকে অল্প অল্প করে জয়ের পথে এগিয়ে নেন শুভমান গিল। ধৈর্য ধরে জয়ের পথে এগোতে থাকেন দু’জনে। ইংলিশ স্পিনারদের কঠিন সব টার্ন উপেক্ষা করে ম্যাচ জয়ের পথে এগিয়ে যান দু’জনে। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন দু’জনে। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষ ৭২ রান পেয়ে যায় ভারত। তুলে নেয় ৫ উইকেটের দারুণ এক জয়। যেখানে গিলের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
ইংল্যান্ড: ৩৫৩ ও ১৪৫ (ক্রাউলি ৬০, বেয়ারস্টো ৩০; অশ্বিন ৫/৫১, কুলদীপ ৪/২২)
ভারত: ৩০৭ ও ৪০/০ (রোহিত ৫৫, জয়সওয়াল ৩৭, গিল ৫২*, জুরেল ৩৯*; বশির ৩/৭৯)
ফল: ভারত ৫ উইকেটে জয়ী।