কোয়ালিফায়ারের পথটা সহজ করে রাখল বরিশালের বোলাররা

কোয়ালিফায়ারের পথটা সহজ করে রাখল বরিশালের বোলাররা

বিপিএলের এলিমিনেটরের ম্যাচ। জিতলে ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে। আর হারলে বাদ। এমন সমীকরণে টসে জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে দারুণ বোলিং শৈলী প্রদর্শন করেছে ফরচুন বরিশাল। দলটির বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে চট্টগ্রামের ব্যাটারদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হয়েছে তাদের। তাতে বরিশালকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটার। তাদের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রানে।

এদিন টসে জিতে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলে সুযোগ করে দেওয়া হয় ডেভিড মিলারকে। তবে এদিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। শুরুতেই ফিরতে হয় ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিন ফিলে যান মাত্র ৩ রানে। বড় ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। সেই ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন জশ ব্রাউন, ইমরানুজ্জামান ও টম ব্রোসরা। তবে কেউই নিজেদের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি।

টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রামের মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একটা জুটি কিংবা ব্যক্তিগত ইনিংস বড্ড বেশি প্রয়োজন ছিল চট্টগ্রামের। তবে সেই কাজটি করতে পারেনি দলটির কোনো ব্যাটার।

মাঝে চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম কিছুটা স্বপ্ন দেখালেও ২৪ রানে ফিরতে হয়েছে তাকে। দায়িত্ব নিতে পারেননি বাকিরাও। চট্টগ্রামের আশা যাওয়ার মিছিলে সর্বোচ্চ রান এসেছে ওপেনার জশ ব্রাউনের ব্যাট থেকে। ২২ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। চট্টগ্রামের উইকেটে ধস নামাতে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বরিশালের কাইল মায়ার্স, সাইফুদ্দিন ও ম্যাককয়। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৩৫ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৩৫/৯; (ব্রাউন ৩৪, শুভাগত ২৪, ব্রোস ১৭; সাইফুদ্দিন ২/২৮, মায়ার্স ২/২৮, ম্যাককয় ২/২৯)

সম্পর্কিত খবর