নিশামের সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ, রংপুর ১৮৫
বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা অল্পের জন্য পাওয়া হলো না জেমস নিশামের। অপরাজিত ছিলেন বটে তবে তার আগেই শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা। নিশামকে থামতে হয় ৪৯ বলে ৯৭ রানে। অবশ্য সেঞ্চুরি না পেলেও তার এই ইনিংসেই কুমিল্লার বিপক্ষে শক্ত ভিত পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। ফাইনালে উঠার ম্যাচে আগে ব্যাট করে কুমিল্লাকে টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে ১৮৫ রানের।
অথচ এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ। দলীয় ২৭ রানেই ফিরে গিয়েছিল দলটির তিন ব্যাটার। এরপর নিশামকে নিয়ে হাল ধরেন শেখ মাহেদী। ৩৯ রানের এই জুটি ভাঙে মাহেদী ২২ রানে সাজঘরে ফিরলে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন নিশাম। পথে নিকোলাস পুরান ও অধিনায়ক নরুল হাসানকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন এই কিউই অলরাউন্ডার। অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা রয়েসয়ে ব্যাট চালালেও উইকেটের অন্য-প্রান্তে কুমিল্লার ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন এই কিউই।
দলকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করাতে প্রথম ফিফটি হাঁকান। এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। শেষ ওভারে এতোটাই আগ্রাসী ছিলেন এই ব্যাটার যে দলীয় স্কোরটাকে ১৫৭ থেকে ১৮৫ তে নিয়ে গেছেন এই কিউই। মুশফিক হাসানের ওই ওভারে তুলেছেন ২৮ রান। আর তাতেই ভিতটা শক্ত হয়েছে রংপুরের। ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেটে ১৮৫ রানে। যেখানে নিশামের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি ছক্কা ও ৮টি চারে। নিশামের দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে সুহানের ব্যাট থেকে। কুমিল্লার বোলার মুশফিকের খরচ ৪ ওভারে ৭২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
রংপুর রাইডার্স ১৮৫/৬; (নিশাম ৯৭*, সুহান ৩০; নারিন ১/১১)