ভূতুড়ে ব্যাটিংয়ের পর শামিমের ফিফটিতে লড়াকু পুঁজি রংপুরের
খেলা শুরুর আগে বিপিএলের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টারদের হয়ে বিশ্লেষণের সময় হাইস্কোরিং ম্যাচ প্রত্যাশা করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। যেহেতু দুই দলে তারকায় ঠাঁসা, তাই এমনটা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর রাইডার্সের তারকা ব্যাটাররা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। তবে শেষদিকে শামিম হোসেনের বিধ্বংসী ফিফটিতে লড়াইয়ের রসদ পেয়েছেন রংপুরের বোলাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪৯।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুরের শুরুটা কোনো দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম ছিল না। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ও শেষ বলে যথাক্রমে শেখ মেহেদী হাসান (২) এবং সাকিব আল হাসানকে (১) হারিয়ে বসে রংপুর। দুইজনই ধরা পড়েছেন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের হাতে।
বরিশালের বোলারদের তোপে ক্রিজে টিকতে পারেননি রনি তালুকদারও। কাইল মায়ার্সের বল ডিপ মিডউইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করতে গিয়ে ডেভিড মিলারের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ১২ বলে ৮ রান করে।
১৮ রানের মধ্যেই প্রথম তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বসা রংপুর পাওয়ার প্লে’তে করে মোটে ২৬ রান। চতুর্থ উইকেটে নিকোলাস পুরান এবং জিমি নিশামের জুটিতে আসে ৩০ রান। তবে এই সময়ে তাদের দুজনের ব্যাটিং ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণও ছিল না। বেশিরভাগ রানই এসেছে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনের অঞ্চল দিয়ে।
রিভার্স সুইপ খেলার ব্যর্থ চেষ্টা এবং হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলতে গিয়ে রংপুরের ব্যাটারদের অসহায় অবস্থা দেখে ঠিক জায়গায় বল করতে থাকেন বরিশালের বোলাররা। নবম ওভারের শেষ বলে যার ফল পেয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বল তুলে মারতে গিয়ে লং অন থেকে দৌড়ে আসা সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন পুরান (৩)। এলোমেলো ব্যাটিংয়ে কিছু রান পেলেও পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নিশাম। জেমস ফুলারের বলে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চারে ২৮ রান।
তবে টপ এবং মিডল অর্ডার ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার দিনেও যে শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজি পেয়েছে রংপুর, এর পুরোটা কৃতিত্ব পাবেন শামিম হোসেন। ২০ বলে দুর্দান্ত এক ফিফটি করে রংপুরের স্কোরকে ভদ্রস্থ করেন এই ব্যাটার। তার ২৪ বলে ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংসে ছিল পাঁচটি করে চার-ছক্কা।