অভিজ্ঞতার ঝাঁজ বুঝিয়ে বরিশালকে ফাইনালে তুললেন মুশফিক, সাকিবদের বিদায়
দারুণ ফর্মে থাকা ফরচুন বরিশালের সামনে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। ১৪৯ রানের সংগ্রহ তবু লড়াই উপযোগী ছিল, তবে বোলারদের ব্যর্থতার দিনে লড়াইটাও জমাতে পারেননি সাকিব আল হাসানরা। অভিজ্ঞতার ঝাঁজ বুঝিয়ে মুশফিকরা ফাইনালে তুলেছেন বরিশালকে। ৬ উইকেট হাতে রেখে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো ১৮ রানের মধ্যেই প্রথম তিন ব্যাটারের ঠাঁই হয় সাজঘরে। আরও একবাড় ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব আউট হন ১ রানে। শুরুর ব্যাটারদের পথে ধরে রংপুরের মিডল অর্ডারও ধসের শিকার হয়।
৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসা রংপুরকে যখন একশর নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কা চোখ রাঙানি দিচ্ছে, তখনই দৃশ্যপটে আসেন শামিম হোসেন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে খাদের কিনারা থেকে লড়াকু স্কোরের পথে এগিয়ে যায় রংপুর। অষ্টম উইকেটে আবু হায়দার রনির সঙ্গে তার ৭২ রানের জুটিতে ভদ্রস্থ হয় রংপুরের সংগ্রহ।
সমান পাঁচটি করে চার-ছক্কায় ২৪ বলে ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে ১৪৯ রান পর্যন্ত নিয়ে যান শামিম।
১৫০ রান তাড়া করতে নেমে বরিশালের শুরুটাও ভালো হয়নি। ২২ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। আবু হায়দার রনির করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এক বলের ব্যবধানে সাজঘরের পথ ধরেন বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।
রনির ফুল লেংথের বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে মোহাম্মদ নবীর ক্যাচ হয়ে ফেরেন তামিম (১০)। এর এক বল পরেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মিরাজ (৮)।
তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকারের জুটিতে শুরুর সে ধাক্কা সামাল দেয় বরিশাল। দশম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবীর বলে সৌম্য ২২ রানে স্টাম্পড হলে ভাঙে সেই জুটি। জয়ের জন্য তখনো ৮১ রান প্রয়োজন বরিশালের।
চতুর্থ উইকেটে কাইল মায়ার্সের ৫০ রানের আরেকটি জুটি গড়ে বরিশালকে কক্ষপথে রাখেন মুশফিক। ফজলহক ফারুকির বলে হুক করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন কাইল মায়ার্স। প্রথমে হাসান মাহমুদ তার ক্যাচ তালুবন্দি করলেও যখন বুঝতে পারেন, বাউন্ডারির বাইরে চলে যাচ্ছেন নিজেই, তখন বল ছুঁড়ে দেন রনি তালুকদারের উদ্দেশে। সে ক্যাচ হাতে জমিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মায়ার্সকে ২৮ রানে থামান রনি।
তবে ৬ চার এবং ১ ছক্কায় ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন মুশফিক।
আগামী ১ মার্চ ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বরিশাল।