দুশ্চিন্তার দুপুরের পর সন্ধ্যায় খানিকটা আলো

দুশ্চিন্তার দুপুরের পর সন্ধ্যায় খানিকটা আলো

০/১। ম্যাচের প্রথম বলেই বাংলাদেশ দলের স্কোরবোর্ডের চেহারা ছিল এটি। পাওয়ার প্লের মধ্যেই আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও বিদায় নিলেন। খানিকবাদে বিপদ আরো বাড়লো। ৫৬ রানে নেই শুরুর ৪ উইকেট। খেলা হয়েছে তখন মাত্র ১২.১ ওভারের।

সেই দল ইনিংস শেষে যখন স্কোরবোর্ডে ২৪৫ রান জমা দেখে তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতেই পারে। দেড়শ রানে গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পড়া দল আড়াইশ ছুঁই ছুঁই সঞ্চয়কে ‘ধনবান’ তো মানবেই! বাংলাদেশের আপাত এই ‘ধনী ইনিংসের’ পুরো কৃতিত্ব বর্তায় দলের দুই অভিজ্ঞ’র ব্যাটে; মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। এই দুইয়ের পঞ্চম উইকেটে ১০৮ বলে ৯৬ রানের জুটিতেই চেন্নাই ম্যাচের বিকেলসন্ধ্যাটা বাংলাদেশের জন্য খানিকটা আলোকিত হলো।

তবে নিউজিল্যান্ডের এই দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ‘বড়কিছু’ হলো কিনা সেই আশঙ্কা রয়েই গেল।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে সুখকর সময়টা কাটলো মুশফিক ও সাকিবের ব্যাটিংয়ে। শুরুতে সঙ্কটে পড়া দলকে গর্ত থেকে টেনে বের করলেন এই দুই সিনিয়র। সাকিব তার ব্যাটিংয়ের শুরুটা একটু ধীরে সুস্থে করেন। বাড়তি কোনো ঝুঁকি নেননি। কিন্তু অন্য প্রান্তে মুশফিকুর রহিম বলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠিকই রান তুলেন। নিউজিল্যান্ডের পেস ও স্পিনের সমন্বয়ে গড়া বোলিং আক্রমণ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেন। ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন মুশফিক। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। উইকেটে জমে যাওয়ার পর সাকিবও হাত খুলে খেলেন। ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ৪৮ বলে তার ৪০ রান বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সামনে বাড়ার সাহস যোগায়।

সাকিব ও মুশফিকের ফিরে আসার পর তাওহীদ হৃদয়ের সামনে সুযোগ ছিল বিশ^কাপে নিজের হারানো ফর্ম উদ্ধার করার। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের নাকল বলে নাকাল হন তাওহীদ। ইনিংসের ১৩ ওভার বাকি থাকার সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ উইকেটে আসেন। একপাশ আকঁড়ে রেখে ৪৯ বলে তার ৪১ রানের ইনিংস বাংলাদেশের স্কোরকে এই ম্যাচে ‘সাহস’ যোগানোর জায়গায় পৌছে দেয়। মাহমুদউল্লাহ’র সঙ্গে জুটিতে শেষের দিকে তাসকিন আহমেদও ব্যাট হাতে কিছুটা দক্ষতা দেখান। ১৯ বলে তার ১৭ রানের ইনিংসে ছক্কাই ছিলো দুটি।

চেন্নাইয়ের এই উইকেটে স্পিন তেমন আঁচড় কাটতে পারেনি। ব্যাটসম্যানদের জন্য এখানে রান আছে। স্পিন ধরছে। তবে সেটা আনপ্লেয়বল কিছু নয়। ২৪৫ রানের মামুলি স্কোর নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের জ্বলে উঠতে হবে। কেবলমাত্র তাতেই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং পুড়বে!
গোটা ইনিংসে বাংলাদেশ নো বল থেকে তিনটি ফ্রিহিট পায়। কিন্তু এই চারটি ফ্রি হিট থেকে যোগাড় মাত্র ১ রান! এখন তাহলে নেট সেশনে ফ্রি হিটের অনুশীলনও করতে হবে!

সম্পর্কিত খবর