ফটোসেশনে কেন যাননি তামিম-লিটন?

ফটোসেশনে কেন যাননি তামিম-লিটন?

বিপিএল ফাইনালের ঠিক আগের দিন ফটোসেশন। গেল বছরের মতো এবারও বিসিবি উদ্যোগ নিয়েছিল ঐতিহাসিক স্থাপনায় ফটোসেশনের। ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ভেন্যু হিসেবে। কথা ছিল আজ সকালে সেখানে যাবেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন দাস। তবে সেখানে তাদের দেখা মেলেনি আজ।

ফটোসেশনের উদ্যোগের কথা আগের দিনই জানিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এতে নির্ধারিত সময় সকাল দশটার আগেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সঙ্গে আহসান মঞ্জিলের মূল গেটের বাইরে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। 

তবে সব উত্তেজনায় পানি ঢালে দুই অধিনায়কের অনুপস্থিতি। সাদামাটাভাবে শেষ হয় ট্রফি নিয়ে ফাইনালের এই ফটোসেশন। সেখানে বরিশালের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং কুমিল্লার প্রতিনিধি হিসেবে ছিল জাকের আলী। 

গতকালই প্লে অফে নিজেদের ম্যাচ খেলেছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। এরপরদিনই ছিল এই ফটোসেশন। যে কারণে তিনি যেতে পারেননি সেখানে। সেজন্যে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন। এরপর জানান কারণটা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেন, ‘তবে গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।’

কুমিল্লার পক্ষ থেকেও একটা ব্যাখ্যা এসেছে। কোচ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন বিশাল দূরত্বের কথা। সে বিষয়টা মাথায় রেখে ফাইনালের প্রস্তুতি নেওয়াটাকেই শ্রেয় মনে করেছে কুমিল্লা। দলের কোচ সালাউদ্দিন বলেন, ‘কালকে আমার ফাইনাল খেলা। এখন আমার অধিনায়ককে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন আড়াই ঘণ্টা জার্নি করে, আবার সে আড়াই ঘণ্টা-তিন ঘণ্টা জার্নি করে এখানে আসবে। তার তো ট্রফি দেখার চেয়ে ট্রফিটা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক না?’

তিনি জানান, ফটোশুটে যাওয়া জাকের আলী সেশন শেষ করে এসে পড়েছেন বিপাকে! সালাউদ্দিনের কথা, ‘আমার মনে হয় যে একটা প্রোপার জায়গায় নিতো, কাছে নিতো, এটা হলে আমার মনে হয় যে দুই অধিনায়কই যেতো। এটা এমন একটা জায়গায় দিছে...সেখানে যে গেছে, সে এখন কোমড় নাড়াতে পারতেছে না। আমার মনে হয় একটা প্রোপার জায়গায় নিলে, কাছে নিলে দুই অধিনায়কই যেতো।’

বিষয়টা দর্শকরা জেনেছেন আচমকা। সালাউদ্দিন বোমা ফাটালেন, তাদেরও জানানো হয়েছে ‘হঠাৎ’! বললেন, ‘আমরা তো কিছু জানি না। আমরা হঠাৎ করে মেইল পাই সবসময়।’

সম্পর্কিত খবর