কুমিল্লাকে ১৫৪ রানে বেঁধে রাখল বরিশাল
প্রথম বিপিএল জয় থেকে ১৫৫ রান দূরে দাঁড়িয়ে ফরচুন বরিশাল। শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তটা দারুণভাবে কাজে দিয়েছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের। তার বোলাররা কুমিল্লাকে বেধে রেখেছে ১৫৪ রানে।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তটা তামিম ইকবাল নিয়েছিলেন শুরুতে দুই তিনটা উইকেট তুলে নিয়ে যেন প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া যায়। তার বোলাররা কাজটা ভালোভাবেই সেরেছেন। পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই সাজঘরে পাঠিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তিন ব্যাটারকে। সুনীল নারাইন তো আছেই, দলের দুই শীর্ষ রান সংগ্রাহক লিটন দাস আর তাওহীদ হৃদয়কে হারিয়ে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে গেছে হ্যাটট্রিক শিরোপার খোঁজে থাকা কুমিল্লা।
কুমিল্লা তাদের প্রথম উইকেটটা খুইয়েছিল প্রথম ওভারেই। ওপেনার সুনীল নারাইন একবার জীবন পেয়েও উইকেট দিয়ে আসেন কাইল মায়ার্সের বলে। প্রথম বার হাত ফসকে ক্যাচ বেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় দফায় কোনো ভুল করেননি ওবেদ ম্যাকয়।
সে ধাক্কাটা তাওহীদ হৃদয় আর লিটন মিলে সামলে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। পরের ১৫ বলে রান আসে ২৪। তবে এরপরই অনেকটা উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন তাওহীদ। জেমস ফুলারের ওয়াইড লাইন ছুঁয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দেন ডিপ থার্ড ম্যানে থাকা মাহমুদউল্লাহর হাতে। টুর্নামেন্টের রান সংগ্রাহক ভালো ফাইনালে শুরু পেলেও বড় কিছু করার সুযোগটা হারান হেলায়।
দুটো উইকেট খুইয়েই ক্ষান্ত হয়নি কুমিল্লা। দারুণ শুরু পাওয়া লিটন দাসও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন অবিমৃশ্যকারি এক শটে। ফুলারের করা শর্ট অফ আ লেন্থ বলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচিং প্র্যাকটিস করান থার্ড ম্যানে থাকা মাহমুদউল্লাহকে। লিটন ফেরেন ১২ বলে ১৬ রান করে, পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই তিন উইকেট খুইয়ে বসে দলটা।
দশ ওভার শেষের আগে কুমিল্লা খুইয়ে বসেছে আরও একটা উইকেট। রয়েসয়ে শুরু করা জনসন চার্লস ফেরেন ওবেদ ম্যাকয়ের শিকার বনে, ১৭ বলে ১৫ রান করে। শুরুর দশ ওভারে কুমিল্লা তুলতে পারে মোটে ৬৭ রান, ৪টা মূল্যবান উইকেট খুইয়ে।
মইন আলীও এরপর হতাশ করেছেন। শেষ দিকে এসে দিশেহারা কুমিল্লার হাল ধরেন মাহিদুল অঙ্কন ও জাকের আলী অনিক। তবে দুজনের ধীরগতির ব্যাটিং দলকে ভুগিয়েছে বেশ। এক পর্যায়ে তো ১৪০ কেও মনে হচ্ছিল দূরের বাতিঘর! জাকের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ২০ রান করে।
অঙ্কন ৩৫ বলে ৩৮ করে বিদায় নেন। এরপর আসা আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে চড়ে কিছুটা গতি আসে কুমিল্লার ইনিংসে। শেষ দিকে রাসেলের ৪টি ছক্কায় করা ১৪ বলে ২৭ রানে ভর করেই ১৫০ রানের গণ্ডি ছাড়ায় কুমিল্লা। তবে ফাইনালের মতো মঞ্চে সেটা কম হয়ে গেল কি না, সে প্রশ্নটা নিয়েও ইনিংস শেষ হলো বৈকি!