বরিশালকে বদলে দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন

বরিশালকে বদলে দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন

দিশেহারা শুরুর পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তখন খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে গেছে। জেমস ফুলারের ১৯তম ওভারে আন্দ্রে রাসেল তুলে ফেলেছিলেন ২১ রান। শেষ ওভারের আগেই দলটা ১৫০ ছুঁয়ে ফেলেছিল প্রায়। দলটা তখন ছুটছিল নিদেনপক্ষে ১৭০কে নজরে রেখে।

সেই সময়ে দৃশ্যপটে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের আবির্ভাব। তিনি এসে ওয়াইড, নো বলে ওভারের পরিধিটা নিয়ে গেলেন ১০ বলে। তবে যে ছয়টা বৈধ বল করলেন, তাতে আন্দ্রে রাসেল আর জাকের আলী অনিক মিলে তুলতে পারলেন মোটে ৩ রান। যেখানে কুমিল্লা চোখ রাখছিল ১৭০ এ, সেখানে শেষমেশ দলটা থেমে গেল ১৫৪ এই। কৃতিত্বটা পুরোপুরি সাইফউদ্দিনের।

অধিনায়ক তামিম ইকবাল সেটা তাকে দিলেনও। বললেন, ‘আমরা ট্রফি জিতেছি ঠিক, কিন্তু শেষ ওভারটা সে অবিশ্বাস্য ভালো করেছে। সে যদি ১৫ রান হজম করত, তাহলে আমরা ১৭০ চেজ করতে নামতাম, কাজটা তখন কঠিন হতো।’

শুধু কি ফাইনাল? শুক্রবার রাতের এই ম্যাচ এক পাশে রাখলেও তো এবার বরিশালের যাত্রায় সাইফউদ্দিনের অবদান ছিল অসামান্য। মৌসুমের মাঝপথে দলে এসেছেন দল তখন ধুঁকছিল। তিনি দলে এলেন, এরপরই ভোজবাজির মতো পালটে গেল বরিশাল। 

প্রায় প্রতি ম্যাচেই শুরুর দিকে উইকেট এনে দিয়েছেন অধিনায়ক তামিমকে। এরপর যেদিনই ব্যাট হাতে নেমেছেন, কমপক্ষে দেড়শো ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে তুলে দিয়ে গেছেন দ্রুত কিছু রান, যা দলের বিচারে মহামূল্য। অর্ধেকের একটু বেশি ম্যাচ খেলেও যে কারণে ক্রিকইনফোর নজরে তিনি আছেন এবারের বিপিএলের প্রভাব বিস্তার করা ক্রিকেটারদের তালিকায় ১১ নম্বরে। 

তার পুরো টুর্নামেন্টে পারফর্ম্যান্স নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয় সাইফউদ্দিনের দলে ঢোকাটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা ঝুঁকিটা নিয়েছি, কারণ কেউ নিশ্চিত ছিল না সে খেলতে পারবে কি পারবে না। সে খুব ভালোভাবে আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। তার দলে ঢোকাটা আমাদের জন্য ‘গেম চেইঞ্জার’ ছিল। তার আসার আগ পর্যন্ত আমাদের বোলিংটা একটু দুর্বল ছিল। তার আসার পর তা বদলে গেছে।’

সম্পর্কিত খবর