হেরেও ‘বেশি খুশি’ কুমিল্লা কোচ
ইতিহাসের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম দল হিসেবে পঞ্চম শিরোপা জয়, হ্যাটট্রিক ট্রফি শেষমেশ জেতা হয়নি বিপিএলের সফলতম দলটার। তবে এরপরও দলটির কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানালেন, অন্যান্য বারের চেয়ে বেশিই খুশি হয়েছেন এবার।
বিপিএলে শেষ কয়েক আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ছিল অনন্য। দল গঠন থেকে শুরু করে বিদেশী খেলোয়াড়দের সূচি মেনে আনা, সব দিক থেকে দলটার জুড়ি মেলা ভারই ছিল। এবারের আসরে অবশ্য দলটাকে টেনেছেন দেশীয় খেলোয়াড়রা। তাওহীদ হৃদয় শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে। লিটন দাসও কম যাননি। জাকের আলী অনিক তো এবারের বিপিএল দিয়েই শুনিয়েছেন নিজের আগমনী বার্তা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচের কণ্ঠে খুশি ঝরে পড়ল মূলত এই কারণেই। বললেন, ‘আমি মনে করি যে, এই বছর আমি আরও বেশি খুশি। কারণ, পুরো টুর্নামেন্টেই স্থানীয় ছেলেরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাদের পারফরম্যান্স অনেক ভালো ছিল। আমাদের অন্যবারের তুলনায় (দেশিরা) এবার অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে। যেটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক।’
দলে অবশ্য বড় বিদেশি খেলোয়াড়রাও ছিলেন। গেল বছরের শিরোপাজয়ের সারথি ছিলেন যারা, সেই জনসন চার্লস, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, মইন আলীরা এবারও খেলেছেন দলটির হয়ে।
তবে প্রয়োজনের সময় তাদের কেউই দলের ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেননি। ফাইনালে যখন তাওহীদ হৃদয় আর লিটন দাসরা ব্যর্থ হলেন, তখন সময় ছিল বিদেশিদের এগিয়ে আসার। কিন্তু কাল মইন আলী থেকে শুরু করে জনসন চার্লসরা ব্যর্থই হয়েছেন।
তার আক্ষেপের পুরোটা জুড়ে রইলেন তাই বিদেশী খেলোয়াড়রাই। বললেন, ‘আমাদের বিদেশিরা সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি, যেমনটা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম... সবসময় যা হয়। তবে এমন হতেই পারে। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতেও পারব। সঠিক জায়গায় যথাযথ ক্রিকেটার ভালো খেললে হয়তো আরও ভালো ফল পেতাম।’