নতুন স্বপ্ন দেখালেন ‘ভারমুক্ত’ শান্ত

নতুন স্বপ্ন দেখালেন ‘ভারমুক্ত’ শান্ত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে এর আগেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি! তবে তখন তিনি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে সুযোগটা মিলেছিল। কিন্তু আজ রোববার নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এলেন ভারমুক্ত হয়ে। নতুন অধিনায়ক নতুন স্বপ্ন নিয়ে মুখোমুখি হলেন গণমাধ্যমের। একদিন পর সোমবার থেকে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যেখানে স্বপ্নের ফানুস উড়ালেন শান্ত!

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজ শুরুর আগে অনুশীলন শুরুর আগেই সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশেন নতুন অধিনায়ক। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, তিন ফরম্যাটের তার লক্ষ্যের কথা। এমনিতে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ উন্নতির পথেই আছে। ওয়ানডেতে সর্বশেষ বিশ্বকাপে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তিটাই ছিল বেশি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যর্থতার বৃ্ত্ত থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল।

এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কত্বের ভাবনা ও লক্ষ্য নিয়ে কথা বললেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশকে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়ার গর্বের অনুভূতি ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকে, ‘বিষয়টা অনেক আনন্দের। এটা আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য অনেক গর্বের। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। ওই সুযোগটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড করে দিয়েছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। খুবই আনন্দিত।’

টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতি নিয়েই এখন বেশি ভাবনা নাজমুল হোসেন শান্তর। এ বছরের জন্য নেতৃত্ব পাওয়া এই অধিনায়ক বলছিলেন, ‘দেখুন, আমার কাছে মনে হয় না টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি উন্নতি করেছি। আগে যে অবস্থায় ছিলাম, তার চেয়ে ভালো খেলা শুরু করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইব যে ঘরের মাঠে আমরা যে ম্যাচগুলো খেলব, বেশির ভাগ ম্যাচ যেন আমরা জিততে পারি। টেস্ট খেলার যে গুরুত্ব, সেটা যেন সবার মধ্যে আরও ভালোভাবে বিল্ডআপ হয়। আমরা যখন দেশের বাইর যাব, বাইরের দলগুলোর সঙ্গে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। এটা একটা দিক।’

ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে ভাবনার কথা শোনালেন শান্ত। বলছিলেন, ‘ওয়ানডে তো আমরা ভালো করছি। তবে দল হিসেবে বড় কোনো টুর্নামেন্টে আমরা পারিনি। এই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব যে আমরা কীভাবে বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারি বা দেশের জন্য একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভাবনা নিয়ে বলছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের গত বছরটা খুব ভালো কেটেছে। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে আগে থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করলে দেখা যাবে যে আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো কন্ডিশনে ভালো করছি। যখন খেলাগুলো শুরু হবে, তখন পরিকল্পনাগুলো আরও পরিষ্কার হবে। তবে এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা তিন সংস্করণে যে খেলোয়াড়েরা খেলব, শুধু ১৫ জন নয়, জাতীয় দলের আশপাশে যে ৩০-৩৫ জন আছে, প্রত্যেকের কীভাবে যার যার জায়গা থেকে দলের জন্য উন্নতি করে আসতে পারি।’

তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন যে কঠিন আর চ্যালেঞ্জের সেটাও জানেন শান্ত। তাইতো বলছিলেন, ‘আমার মনে হয়, কাজটা আমার জন্য এখন আরও, অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তবে পরিকল্পনা করা একটু সহজ হবে। প্রত্যেক খেলোয়াড় সম্পর্কে জানতে হবে। যদিও আমরা সবাই খেলার মধ্যেই থাকি, সবার সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। আমার মনে হয় পরিকল্পনা করার দিক থেকে একটু হলেও সুবিধা হবে। তিন ফরম্যাটেই দায়িত্বে আছি। আশা করছি সামনে ভালো কিছু হবে।’

সম্পর্কিত খবর