ওয়ানডেতে ‘বড় শিরোপা’ চান অধিনায়ক শান্ত
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলল কোয়ার্টার ফাইনালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ম্যাচ জিতে শেষ আটে গিয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল, সেদিন নাসের হুসেইন যে কথাটা বলছিলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের শুরুর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ইয়ান বিশপের কণ্ঠেও যেন ঝরে পড়ল সেই একই সুর। ‘গ্রোয়িং ফোর্স’ এই ছিল বাংলাদেশের তকমা।
সেই দুই ম্যাচের যথাক্রমে ৯ আর ৫ বছর পেরিয়ে গেছে, বাংলাদেশের গায়ে লেগে থাকা তকমাটা সরানো যায়নি। বাংলাদেশ ‘গ্রোয়িং ফোর্স’ থেকে ‘গ্রোন আপ ফোর্স’ হয়ে উঠতে পারেনি এখনও।
দুটো পর্যায়ের মধ্যে বাঁধা একটাই। নিদেনপক্ষে একটা বড় আইসিসি শিরোপা। সেটাই যে এখনও বাংলাদেশ জিততে পারেনি!
খুব কাছে গিয়েছিল ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ফরম্যাট আর প্রকৃতির বদান্যতায় খেলেছিল সেমিফাইনালে। সেটাই এখন পর্যন্ত হয়ে আছে দলের সবচেয়ে ‘বড় সাফল্য’। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ আর এমন কী!
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও বুঝতে পারছেন একটা ‘বড় শিরোপা’র মর্ম। পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বললেন মুখ ফুটে।
বললেন, ‘ওয়ানডে তো আমরা মাশাল্লাহ ভালো করতেসি। আমি মনে করি, দল হিসেবে বড় কোনো টুর্নামেন্ট আমরা পাইনি, তো ওই পরিকল্পনা নিয়েই আগাব যেন আমরা বড় টুর্নামেন্টেও ভালো ক্রিকেটটা খেলতে পারি, বা দেশের হয়ে একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি।’
সে সুযোগটা শান্তর সামনে আসবে আগামী বছর। পাকিস্তানে বসবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। তবে তার আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ। আসছে জুনে এই টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনিই। সে বিশ্বকাপ নিয়ে তার ভাবনা কী?
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে শেষ বছরটা খুব ভালো কেটেছে। টি-টোয়েন্টি আমি মনে করি যে, টি-টোয়েন্টিতে আগের চেয়ে অনেক ইমপ্রুভ হয়েছে। আরও কিছু কিছু জায়গায় যদি উন্নতি করি, তাহলে সামনের দিকে দেখা যাবে যে কোনো দলের বিপক্ষে যে কোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো করতেসি। সো ডে বাই ডে খেলাগুলো যখন শুরু হবে পরিকল্পনাগুলো আরও পরিষ্কার হবে।’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সামনে বেশি ম্যাচ নেই আর। এখন থেকেই পরিকল্পনাটা গুছিয়ে ফেলতে চাইছেন তিনি। বললেন, ‘বিশ্বকাপের আগে ৮ কি ১১টা ম্যাচ বাকি। আমরা বিশ্বকাপে কীভাবে খেলতে চাই, সেটা যদি আমরা এখান থেকেই গুছায়ে নিয়ে যাই, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য প্ল্যান করাটা খেলাটা সহজ হবে।’