রানের পাহাড়ে শ্রীলঙ্কা
শুরুটা কি দারুণই না হয়েছিল!
দ্বিতীয় বলেই উইকেট চলে এসেছিল। এরপর তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলামের বলে যেভাবে একের পর এক এজড হচ্ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা, তাতে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ বুঝি অনায়াসেই কম রানে আটকে রাখবে শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু দিনশেষে হলো তার উল্টোটা। লঙ্কান ব্যাটারদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ত্রাহি মধুসূদন দশা হলো বোলারদের। শ্রীলঙ্কা তাদের ইনিংস শেষ করল ৩ উইকেট খুইয়ে ২০৬ রান তুলে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস ভাগ্যটা সঙ্গ দিয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। শেষ অংশে শিশিরের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে তিনি নেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। প্রথম ওভারেই ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দোকে তুলে নিয়ে সে সিদ্ধান্তটাকে ঠিক বলেই মনে করাচ্ছিলেন শরিফুল। আভিশকাকে শরিফুল ফিরিয়েছিলেন ‘এজড’ করে। এরপর পাওয়ারপ্লে শেষের আগ পর্যন্ত আরও বার তিনেক বল লাগল কোণায়, তাতে মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখা বুঝি কঠিন কিছু হবে না!
পাওয়ার প্লে’র মধ্যে কামিন্দু মেন্ডিসকেও যখন ফেরালেন তাসকিন আহমেদ, তখন তো সে ভাবনা পেয়ে বসল আরও!
বাংলাদেশের সুখস্মৃতি, আর শ্রীলঙ্কার দুর্দশা আটকে রইল ওই পর্যন্তই। তৃতীয় উইকেটে ওপেনার কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমার জুটিতে সে দুর্দশাটা সামলাল শ্রীলঙ্কা, এরপর বিপদ কেটে গেছে বুঝতেই দুজন চড়াও হলেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। দুজন মিলে গড়েন ৯৪ রানের জুটি। রিশাদ হোসেনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি করেন কুশল মেন্ডিস। ২৮ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই ওপেনার। সঙ্গী সামারাবিক্রমাও কি কম করেছেন?
শরিফুলের করা ইনিংসের ১৩তম ওভারে ২ চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান। সামারাবিক্রমার তোপের মুখে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওয়াইডে পাঁচ রানও দিয়ে বসেন শরিফুল।
তবে সেঞ্চুরি জুটির আগে ফেরেন মেন্ডিস। রিশাদ হোসেনের বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে থাকা মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ দেন ৫৯ রান করে মেন্ডিস। তবে সামারাবিক্রমা ছিলেন শেষ পর্যন্ত। আসালঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে টিকে ছিলেন শেষ বল পর্যন্ত। দুজনের জুটিতে ৩৩ বলে আসে ৭৩ রান। তাতেই শ্রীলঙ্কা তাদের ইনিংস শেষ করে ২০৬ রানের পাহাড় গড়ে।