আজ হোক সিরিজে ফেরার দিন
‘ইশ ম্যাচটা তো ছিল হাতের মুঠোয়!’ এমন আফসোস করার সময়ও বেশি মিলল না! প্রথম ম্যাচের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মাঠে নামার, দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হচ্ছে! আজ সন্ধ্যা ছয়টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ লড়ে হেরেছে। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর জাকের আলী অনিকরা লড়াই করে শেষমেশ পারেননি। জয় হয়তো মেলেনি, কিন্তু এই ম্যাচ থেকে মহামূল্য একটা অর্জন বাংলাদেশ কিন্তু ইতোমধ্যেই করে ফেলেছে।
কী সেটা? টি-টোয়েন্টির মানসিকতা, বিশ্বাস। সোমবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন বিদায় নিলেন, তখন দলের রান চাই আরও ৯২ রান, হাতে মোটে ৪০ বল। ৭.৪ ওভারে ৯২! তখন আপনি বিশ্বাস করেছিলেন অত কাছে যেতে পারবে বাংলাদেশ? সরল উত্তরটা হলো, না।
আপনি যা বিশ্বাস করেননি, জাকের ঠিক তাই করলেন। দলকে শেষমেশ জেতাতে পারেননি। তবে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর সবাইকে অন্তত নির্ভরতাটা দিয়েছেন জাকের, তিনি জেতাতে পারেন ম্যাচটা।
কে বলবে এটা তার ঘরের মাঠে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচ ছিল? দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচে, তবু জাকেরের গলা শুকায়নি একটুও, যখন চাপে নুইয়ে পড়ার কথা, সেখান থেকে সটান দাঁড়িয়ে গেছেন, দলকে নিয়ে লড়েছেন বুক চিতিয়ে। কখনো বুদ্ধি, কখনো পেশি শক্তির ব্যবহার করে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে গেছেন। তাতেই না দূরের বাতিঘর চলে এল খুব কাছে!
জাকেরের এই ইনিংস ওই ম্যাচে দিয়েছে নির্ভরতা। আর গণ্ডিটা ওই ম্যাচের চেয়ে বড় করে তুললে? বিশ্বাস। একটা সময় মনে করা হতো, ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর ফরম্যাটটাই বুঝি সবচেয়ে বেশি ভালো খেলবে বাংলাদেশ, দলের সবাই যে ছিলেন স্ট্রোকমেকার! তবে কালের বিবর্তনে সে বিশ্বাসটা উলটে গেছে ১৮০ ডিগ্রি। জাকেরের ওভাবে স্নায়ুচাপে নুইয়ে না পড়ে এমন ইনিংস দলকে এই বিশ্বাসটাই এনে দেওয়া উচিত, যে টি-টোয়েন্টি আমরাও পারি! গতকাল মাহমুদউল্লাহ আর তিনি যা করলেন, তা হওয়া উচিত আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বাসের অ্যান্টিডোট!
সে বিশ্বাসটা বোধ করি দলেও ছড়িয়ে গেছে এখন। আজ তবে সেটা কাজে লাগানোর দিন। প্রথম ম্যাচে হারের পর অন্য কিছুর সুযোগটাও নেই হয়ে গেছে অবশ্য। জিততেই হবে আজ, সেটা যে করেই হোক। না হলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারের বঞ্চনায় পুড়তে হবে দলকে। তবে তাই হোক, সিরিজে ফেরার ম্যাচই হোক আজ!