শ্রীলঙ্কাকে চড়ে বসতে দেয়নি বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কাকে চড়ে বসতে দেয়নি বাংলাদেশ

আগের ম্যাচেই ২০০র বেশি রান হজম করে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজও শুরুটা শ্রীলঙ্কা করেছিল বেশ ভালো। শুরুর ধাক্কা সামলে চোখরাঙানি দিচ্ছিল বড় রানের। তবে শেষমেশ তাদেরকে সে রান পাহাড়ে চড়ে বসতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমানরা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীদের আটকে রেখেছে। শ্রীলঙ্কা তাদের ইনিংস শেষ ৫ উইকেট খুইয়ে করেছে ১৬৫ রান।

বোলিংয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। পাওয়ার প্লে প্রথম তিন ওভারে তো রীতিমতো খোলস ছেড়ে বেরোতেই দেয়নি লঙ্কানদের। শরিফুল-তাসকিন জুটির সামনে শুরুর তিন ওভারে মোট ৮ রান তুলতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা, তাও একটা উইকেট খুইয়ে। সফরকারীরা তাসকিনের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ১৭ রান তোলে, মোমেন্টামটা চলে যায় তাদের পক্ষে। কুশল মেন্ডিস-কামিন্দু মেন্ডিস পাওয়ারপ্লের শেষ তিন ওভারে তুলেছেন ৪১ রান। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৬৬।

শেষমেশ তাদের আলাদা করেন সৌম্য সরকার। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ২২ বলে ৩৬ রান করা কুশল মেন্ডিস। এরপর দ্রুতই আরও দুটি উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। কামিন্দু মেন্ডিস ২৭ বলে ৩৭ রানে রান আউটের শিকার হওয়ার পর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে দ্রুতই ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ। তবে দলকে পথ হারাতে দেননি লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জলু ম্যাথিউসকে উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড় করিয়ে তাণ্ডব চালান আসালাঙ্কা। তবে খুব বেশি স্থায়ী হয়নি তার সেই আগ্রাসন। মেহেদীর বলে ১৪ বলে ২৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে তাকে। ১১২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

১৫ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১২২। আগের ম্যাচে শেষ ৫ ওভারে ৭০ রান তুলেছিল লঙ্কানরা। তবে শ্রীলঙ্কাকে আজ শেষ পাঁচ ওভারে রানের পাহাড়ে চড়ে বসতে দেয়নি বাংলাদেশ। শেষ ৩০ বলে রান দিয়েছে মোটে ৪৩। তাতে শ্রীলঙ্কাকে থামতে হয়েছে ১৬৫ রান তুলে। ৫ উইকেট হাতে রেখেও।

সম্পর্কিত খবর