কৃতিত্বটা বোলারদের দিলেন শান্ত
‘ক্যাপ্টেনস নক’। কাটালেন রান খরা, করলেন ফিফটি, জেতালেন দলকে। এত সব কিছুতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই থাকার কথা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তার দল দারুণ খেলেছিল। তবে শেষ ওভারে এসে ৩ রানের আক্ষেপ যায় থেকে। সেই ম্যাচে ব্যাটাররা নিজেদের সক্ষমতার জানান দিলেও বোলাররা ছিলেন খরুচে।
গতকাল (বুধবার) সিরিজ সমতার ম্যাচেও ব্যাটাররা ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। টপ-অর্ডারদের সম্মিলিত এবং অনায়াস ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের ৮ উইকেটে উড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। এতে ব্যাটারদের নৈপুণ্য চোখে পড়ার মতো থাকলেও বোলারদের বাড়তি করে কৃতিত্ব দিলেন অধিনায়ক শান্ত। শুরু থেকে লঙ্কান ব্যাটারদের চাপে রেখে পুরো ইনিংসে যেন সফরকারীদের চড়ে বসতে দেননি শরিফুল-তাসকিনরা। এতেই বোলারদের আলাদা প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আগের ম্যাচে হারের পর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। যেখানে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত পারফর্মের দিনে ব্যাট হাতে ছন্দে ফেরেন শান্তও। ৩৮ বলে ৫৩ করে ছিলেন অপরাজিত, ছক্কা মেরে করেছেন ম্যাচ সমাপ্ত। এতে শরীরটা বেশ ক্লান্ত থাকলেও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্তর চোখে-মুখে ছিল স্বস্তির ছাপ। সেখানে ম্যাচ সঞ্চালকের সঙ্গে আলাপকালের তিনি বলেন, ‘কৃতিত্বটা সবার। বিশেষ করে আমাদের বোলারদের। যেভাবে আমরা বল করেছি এই উইকেটে, আমি সত্যিই খুশি। আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারের কথা বলব না, সবাই ভালো করেছে। এরপর ব্যাট হাতেও আমরা শুরুটা ভালো করেছি এবং সেটা ধরে রেখেছি।’
চোখে-মুখে ছিল স্বস্তির ছাপ। সেখানে ম্যাচ সঞ্চালকের সঙ্গে আলাপকালের তিনি বলেন, ‘কৃতিত্বটা সবার। বিশেষ করে আমাদের বোলারদের। যেভাবে আমরা বল করেছি এই উইকেটে, আমি সত্যিই খুশি। আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারের কথা বলব না, সবাই ভালো করেছে। এরপর ব্যাট হাতেও আমরা শুরুটা ভালো করেছি এবং সেটা ধরে রেখেছি।’
সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলটা ঠিক ভালো যায়নি শান্তর। এর আগের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবার ছিলেন পুরোদস্তুর ফিকে। সঙ্গে আসর চলাকালীন পান তিন ফরম্যাটেই পূর্ণকালীন অধিনায়কের দায়িত্ব। এতে রানে ফেরার চাপটা কিছুটা বাড়তিই ছিল শান্তর ওপর। এবং লম্বা সময় পর ব্যাটে সেই ছন্দ ফিরে পাওয়ায় খুশি তিনি নিজেও। ‘একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিটি ম্যাচে রান করার চেষ্টা করতে হবে। আমি আমার ফর্ম নিয়ে খুশি।’