পাকিস্তানের ব্যাটিং যেন বেহুলার বাসর!
দলের স্কোরবোর্ডে তখন ১৫৫ রান, উইকেট গেছে মাত্র দুটো। ওভার বাকি আরও ২০টার মতো। সেখান থেকে ৩০০ তো বটেই, আরও বেশিও এখন হরহামেশাই হচ্ছে আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে। কিন্তু পাকিস্তান সেটা তো পারলই না, ২০০ও কি-না করতে পারল না! বেহুলার বাসরের মতো ভাঙল পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার, ৩৬ রানে হারাল শেষ ৮ উইকেট। অলআউট হলো মোটে ১৯১ রান তুলেই!
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরুটা ভালোই করেছিল। ইমাম উল হক আর আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে চড়ে রান তুলছিল সাবলীলভাবেই। পাওয়ারপ্লে শেষের আগে অবশ্য আব্দুল্লাহকে হারায় পাকিস্তান। তবে এরপর বাবরকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো ভুলচুক হতে দেননি ইমাম।
পাওয়ারপ্লে শেষে ফেরেন ইমাম। হার্দিক পান্ডিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এরপরই শুরু বাবর আর রিজওয়ানের লড়াইয়ের। দুজন মিলে রান তুলছিলেন অনায়াসে। তবে ফিফটির পরই বাবর ফেরেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। পাকিস্তানের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার সেই শুরু।
এরপর একে একে ব্যাটারদের আসা যাওয়াই দেখেছে পাকিস্তান। রিজওয়ান ফিফটি ছুঁতে পারেননি, বিদায় নিয়েছেন ৪৯ রানে। বাবর-রিজওয়ানের বিদায়ের পর দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন কেবল হাসান আলী। বাকিরা বিদায় নিয়েছেন এক অঙ্কেই।
ভারতের বোলাররা সম্মিলিতভাবেই আঘাত হেনেছেন পাক ইনিংসে। পাকিস্তানের দশ উইকেট সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন পাঁচ ভারতীয় বোলার। আর তাতেই পাকিস্তান শেষমেশ করতে পারল মোটে ১৯১ রান।