‘অশ্বিনের’ টেস্টের প্রথম দিনটা ভারতের

‘অশ্বিনের’ টেস্টের প্রথম দিনটা ভারতের

টেস্টটা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর জনি বেয়ারস্টোর শততম টেস্ট বলেই। তবে সেই টেস্টের প্রথম দিনে এ দুজনের কেউ একা পাদপ্রদীপের আলোটা কেড়ে নিতে পারলেন না। কেড়ে নিল ‘টিম ইন্ডিয়া’। ইংল্যান্ডকে ২১৮ রানে অলআউট করে নিজেরাও ইতোমধ্যেই তুলে ফেলেছে ১৩৫ রান। প্রথম দিন শেষেই তাই চালকের আসনে ভারত, আর ইংলিশরা চলে গেছে ব্যাকফুটে। 

শুরুর আগের সময়টা অশ্বিন-বেয়ারস্টোর। নিজের মেয়ের কাছ থেকে অশ্বিন নিলেন শততম টেস্টের স্মারক টুপিটা। বেয়ারস্টো তখন মাকে জড়িয়ে কাঁদছেন, ঠিক যেমনটা করবেন বলেছিলেন টেস্ট শুরুর আগে!

সব একপাশে রেখে ম্যাচটা যখন শুরু হলো, ইংলিশরা শুরুটা পেয়েছিল ভালো। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। এরপর ওপেনিং জুটির নির্বিঘ্নে ৬৪ পর্যন্ত চলে যাওয়া… সফরকারীদের সুখস্মৃতিটা টিকল ওই পর্যন্তই। বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে কুলদীপ যাদব যে শুরু করলেন, থামলেন গিয়ে একেবারে ৫ উইকেট নিয়ে। 

ইংল্যান্ড ওই প্রথম উইকেট খোয়ানোর পর উইকেটগুলো নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে। একটা মাঝারি মাপের জুটি, একটা উইকেট… এভাবেই চলছিল ১৭৫ এর আগ পর্যন্ত। ওই রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসলে পায়ের তলার মাটি সরে যায় ইংলিশদের। সেখান থেকে দলটা আর বেশি দূর এগোতেও পারেনি। ২১৮ রানেই অলআউট। যাদবের ৫ উইকেটের পাশে অশ্বিনও ছিলেন ২ উইকেট নিয়ে, বাকি তিনটে উইকেট গেছে রবীন্দ্র জাদেজার দখলে।

এরপরের দৃশ্যগুলো অনুমিতই ছিল। অন্তত এই সিরিজ হিসেবে। রোহিত শর্মা আর যশস্বী জয়সওয়াল তাই করলেন, যা ইংল্যান্ড করতে চেয়েছে পুরো সিরিজে। জয়সওয়াল রান তুলেছেন ওয়ানডে মেজাজে, প্রায় একশো স্ট্রাইক রেট নিয়ে। ছুঁয়ে ফেলেছেন একটা রেকর্ডও দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এক সিরিজে ৭০০ রানের রেকর্ড গড়েন তিনি, এর আগে স্রেফ সুনীল গাভাস্কারই এই কীর্তি গড়তে পেরেছিলেন। 

একই সঙ্গে ৯ম টেস্টে ১০০০ টেস্ট রানও ছুঁয়ে ফেলেন জয়সওয়াল। গড়ে ফেলেন ম্যাচের বিচারে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে হাজার টেস্ট রানের রেকর্ড। তার চেয়ে কম টেস্টে প্রথম হাজার রানের কীর্তি স্রেফ স্যার ডন ব্র্যাডম্যানেরই ছিল। জয়সওয়ালের সমান ৯ টেস্টে হাজার ছুঁয়েছেন কেবল স্যার এভারটন উইকস, হাবার্ট সাটক্লিফ আর জর্জ হ্যাডলি।

এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জয়সওয়াল, ৫৭ রানে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। তবে জয়সওয়ালের সঙ্গী রোহিত টিকে আছেন এখনও, ৫২ রান নিয়ে তিনি অপেক্ষায় আছেন বড় কিছুর। ওদিকে শুবমান গিল থিতু হয়ে গেছেন ইতোমধ্যেই। দুজন মিলে কাল ইংলিশদের নাভিশ্বাস তোলার ইঙ্গিতই দিয়ে রেখেছেন আজ বিকেলে। 

 

সম্পর্কিত খবর